৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি: চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে বাদ পড়বেন আইসিটির অর্ধেক আবেদনকারী
ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পাবেন না আইসিটি বিষয়ের প্রায় অর্ধেক নিবন্ধনধারী। বাদ পড়তে যাওয়া সকলেই ৬ মাসের সনদ দেখিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন।
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের পূর্বে প্রার্থীদের সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সনদ যাচাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে জাল সনদধারী, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, সহকারী মৌলভী পদে দ্বিতীয় বিভাগ না থাকার কারণে অনেকেই চূড়ান্ত সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেশ কিছু প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর তাদের সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কেননা এই নিবন্ধনধারীদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়ার কথা। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩৫ বছর হয়ে গেছে তারা নিয়োগের সুপারিশ পাবেন না।
ওই সূত্র আরও জানায়, সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী মৌলভী পদে চাকরির ফাযিল পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে যারা ফাযিলে তৃতীয় বিভাগ পেয়েছেন তাদেরও নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হবে না। এছাড়া অনেক প্রার্থী সনদ জাল করে চাকরির আবেদন করেছিলেন। চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে তাদেরও বাদ দেওয়া হবে। আইসিটি বিষয়ে ৬ মাসের সনদ দিয়ে আবেদন করা এবং নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ অর্জন না করায় আইসিটির প্রায় অর্ধেক আবেদনকারী বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া অনেক প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পাবেন না। এই সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা সনদ জমা দিতে পারবেন। সবার সনদ যাচাই শেষে কতজনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে সেটি বলা যাবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ভুল তথ্য, জাল সনদ, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকাসহ বেশ কিছু কারণে অনেক প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পাবেন না। আমরা সনদ যাচাই করছি। সনদ যাচাই শেষে বাদ পড়াদের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রোববার ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।