আমতলী ও তালতলীতে ৩৮৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
বরগুনাঃ জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ৩৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে কোনো শহীদ মিনার নেই। ফলে মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির দিন বাঁশ, কাঠ, কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে। সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ওই সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আমতলী ও তালতলী উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলীতে মোট ২৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদিকে তালতলী উপজেলায় মোট ১৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন রয়েছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪১৭টি। এরমধ্যে আমতলী উপজেলার ১৪টি ও তালতলী উপজেলার ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব মিলিয়ে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও বাকি ৩৮৭টিতে নেই। একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ, কাঠ, কোথাও বা কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শিশুরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমতলী উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আমতলী সরকারি এ কে হাইস্কুল, এমইউ বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক, একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক, ছুড়িকাটা সরকারি প্রাথমিক, ওয়াপদা সরকারি প্রাথমিক, সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক, বাসুগী সরকারি প্রাথমিক ও বেগম নুরজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও কোনো শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া আমতলী সরকারি কলেজে একটি শহীদ মিনার থাকলেও কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলায় এখনো কোনো শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিরের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুদ্দিন সানু বলেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও আমতলী উপজেলা সদরে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আশা করি প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/০২/২০২৪