ফ্যাশনে শীতরে আমজে
নিউজ ডেস্ক।।
আগামী রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে চাহিদা মতো চিনি সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশবন্ধু সুগার মিলস। এ লক্ষ্যে র’সুগার আমদানিতে দ্রুত এলসি বা ঋণপত্র খোলার তাগিদ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাঁচামাল সংকটে মিলের চিনি উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
চাহিদামতো সরবরাহ বাড়াতে হলে এখন উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রমজানে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি সরবরাহে প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার নরসিংদীর শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত দেশবন্ধু সুগার মিল সরেজমিনে পরিদর্শন করে গণমাধ্যম কর্মীরা। এরপরই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত একবছরে দেশবন্ধু গ্রুপ নতুন করে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। চিনি উৎপাদন বাড়াতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিনারিজ বসানো হয়েছে কারখানায়।
এর ফলে চিনি উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টনে। কিন্তু কাঁচামাল সংকটে তাদের সেই উৎপাদন এখন দেড় শ’ থেকে ২০০ টনে নেমে এসেছে। ফলে চাহিদামতো চিনি বাজারে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগের আমদানিকৃত র’সুগার দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে আগের এলসিকৃত ৫৫ হাজার টন চিনি জাহাজে রয়েছে। সেই র’সুগার দেশে আসলে চিনি উৎপাদন কিছুটা বাড়ানো হবে।
তবে রমজানের চাহিদা পূরণে এখনই ব্রাজিল থেকে র’সুগার আমদানি বাড়াতে হবে। এজন্য এলসি সহজীকরণসহ যাবতীয় উদ্যোগ প্রয়োজন। অন্যথায় বাজারে চিনির সংকট তৈরি হতে পারে। দেশবন্ধু গ্রুপ দাবি করেছে, নতুন যে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে তাতে ভালো সাড়া পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।