শিক্ষাই মুক্তি কথাটি সর্বাঙ্গেই সত্যি।আর শিক্ষার মূলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই বাস্তবতায় শিক্ষককে বলা হয় সোস্যাল ইন্জিনিয়ার। অন্যভাবে বলে হয় জাতি গড়ার কারিগর। অনেক উচ্চতায় রাখা হয় শিক্ষককে।রাষ্ট্র শিক্ষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারলে সম্মানের জায়গা কেড়ে নেয়নি।
কিন্তু বর্তমান পেক্ষাপটে দেখা যায় গুটিকয়েক মাতব্বরিপনা ম্যানেজিং কমিটি সদস্য কিংবা গভর্নিং বডির সদস্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক এমন কি মায়ের জাত শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার চিত্র ভেসে উঠেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।অনেক সদস্য অল্প শিক্ষিত হলেও তাদের ব্যবহার ও আন্তরিকতা বলা বাহুল্য।
তথাপি শিক্ষা ও শিক্ষককে নিরাপদ ও শিক্ষাকে কলুষ মুক্ত রাখতে সরকারের নিজ আওতাধীন শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি প্রয়োজন।দেখা যায় রাজনৈতিক এবং স্হানীয় প্রভাবের কারণে অনেক প্রধান তাদের সাথে পেরে উঠে না।এই সুযোগে অনেক সুবিধাভোগী অনধিকার চর্চা করতে দ্বিধা করে না।
আবার অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা শিষ্টাচারের পরিচয় দিয়ে থাকে।কিন্তু সুবিধাভোগী নৈতিকতা বিবর্জিত কিছু অসাধু মানুষের কমিটিতে বেপরোয়া ভূমিকা শিক্ষার পরিবেশকে ভূলন্ঠিত করছে।যদিও তারা সংখ্যায় নগণ্য। অন্যকে ঘায়েল ও নিজে সুবিধা পাওয়ার আশায় নৈতিকতা ও সততার সংজ্ঞা নিজের মত করে সংজ্ঞায়িত করে।
তারা শিক্ষককে ভাবে ভিন গ্রহের বাসিন্দা।তারাও যে কোন না কোন সমাজের একজন বুঝতে চায় না। সামাজিক মর্যাদা ও ঐতিহ্য না থাকলে একটি পরিবার বিভিন্ন প্রতিকূলতায় তার সন্তানদেরকে শিক্ষার একটি সমাপ্তি শেষে পেশায় যুক্ত করতে পারে না। তাই সামাজিক নিরাপত্তার খাতিরে নয়, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সংজ্ঞা বা কাঠামো তথা এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা ভিন্ন ভাবে উপস্থাপিত হওয়া সময়ের দাবি।
শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তনে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বদলি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ কাম্য নয় বলে মনে করে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
লেখকঃশাহ আলম সরকার
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.