সারাদেশের এমপিওভুক্তির তালিকা কোন মানদণ্ডে তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যাখ্যাসহ পুনরায় সারসংক্ষেপ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সে অনুযায়ী ব্যাখ্যাসহ সারসংক্ষেপ শিগগিরই পাঠানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে এমপিওভুক্তির নির্দেশনা জারি করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানা যায়, ব্যাখ্যা চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে।
এরপর গত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানতে চাওয়া হয়, কোন মানদণ্ডে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের নীতিমালার কয়েকটি জায়গায় মুদ্রণজনিত ভুল সংশোধন করারও নির্দেশ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল ও কলেজের নতুন এমপিওভুক্তির একটি তালিকা গত ৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এতে ১ হাজার ৭৬৩টি স্কুল ও কলেজের নাম রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো সারসংক্ষেপের সঙ্গে ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাও পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার বিবেচনা করে এমপিওভুক্তির তালিকা তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এদিকে এমপিওভুক্তির জন্য ১ হাজারের মতো মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রায় আড়াই হাজার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
সারাদেশে এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজ। এছাড়া রয়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০১০ সালে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.