সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশাসহ আপত্তিকর সম্পর্কের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। এতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তুমব্রু এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তুমব্রু এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর ছবি কয়েক বছর আগে ধারণ করে। এখন তা প্রকাশ পায়।
এই শিক্ষক শুধু এই ছাত্রী নয়, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্ক গড়ে তুলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবুল হকের বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক। ভাইয়ের প্রভাবে তিনি বিদ্যালয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড সংঘটিত করে পার পেয়ে নিত্য নতুন অপরাধ করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক বারেকুল মোস্তফা ইমরান বলেন, মাস্টার মুজিবের বড় ছেলে এসএসসি পাস করে বর্তমানে কক্সবাজার সিটি কলেজে অধ্যয়নরত আছে, একটা মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে, তার উপযুক্ত দুইটা ছেলে মেয়ে থাকার পরও সে ছাত্রীদের সঙ্গে কেন অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়? তিনি বার বার অপরাধ করে মিথ্যা অপবাদ বলে চালিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার বড় ভাই হামিদুল হক।
এদিকে একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে, অনেকে এই ঘটনার পর নিজ সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর বিষয়ে উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন, আবার অনেকে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সবাইকে সোচ্ছার হতে আহ্বান জানান।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন শিমুল বলেন, শিক্ষকরা যদি ছাত্রীদের এই ভাবে করেন, তাহলে মা-বাবা তার সন্তানদের স্কুলে পাঠাবে না, আমি এর শাস্তি দাবি করছি।
অন্যদিকে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি প্রসঙ্গে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক বলেন, ছাত্রীর সঙ্গে এই ছবিগুলো সত্যি, আমি অস্বীকার করছি না। তিনি আরও বলেন, আমি এর জন্য লজ্জিত, সবার কাছে ক্ষমা চাই।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.