এইমাত্র পাওয়া

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ১১ তম ও ১০ম গ্রেড প্রাপ্তিতে কর্মসূচী ঘোষনা

নিউজ ডেস্ক।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের ১১ তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকের ১০ গ্রেড প্রাপ্তির জন্যে দীর্ঘ সময় ধরে প্রাথমিক শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছিলেন।

তাদের দাবীর যথার্থতা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় গত ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে প্রধান শিক্ষক ১০ ম ও সহকারি শিক্ষক ১১ তম গ্রেড প্রস্তাবনা দিয়ে প্রেরন করলে তা অর্থ মন্ত্রনালয়ের সম্মতির জন্যে প্রেরিত হয়। ৮ সেপ্টেম্বর -২০১৯ তারিখ এক পত্রের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রনালয় বেতন বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই মর্মে মতামত প্রদানের পর পরই সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখেই তাৎক্ষণিক মৈত্রী হল ঢাকায় কেন্দ্রীয় সভা ডেকে নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। অদ্য ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১০. ০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি পূর্ব ঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯খ্রি, রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় সারাদেশে সকল উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং দাবি আদায়ের পদক্ষেপ না নিলে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ঐ দিন পদযাত্রার সমাবেশ থেকে পরবর্তীতে লাগাতার কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা করা হবে জানান এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সকল নেতৃবৃন্দ ও সুপ্রিয় শিক্ষকগনকে কর্মসূচী পালন করার জন্য বিনীত আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ কাব স্কাউট সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাছিম ফারুকী দৈনিক শিক্ষা বার্তা ডটকম কে জানান ১৯৯১ সনের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সহকারি শিক্ষকরা ) পুরুষ) স্নাতক ও প্রধান শিক্ষকরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন হলেও বেতন গ্রেড ছিল ৩য় শ্রেণি কর্মচারির সবচেয়ে নিচের ধাপে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের ফলে ২৯/৮/ ২০০৬ সালে উন্নীত বেতন স্কেল প্রদান করেন ৩য় শ্রেণির কর্মচারির লেভেল রেখেই।আবার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯/৩/২০১৪ খ্রিঃ সহকারি শিক্ষকদের ১৫ তম ( নন ট্রেইন্ড) ও প্রধান শিক্ষকদের ১২ তম গ্রেড ( নন ট্রেইন্ড) প্রদান করে। যার প্রেক্ষিতে সহকারি শিক্ষকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

দীর্ঘ সময় আন্দোলন করে বেতন বৈষম্য দূর করার জন্যে। তাদের সাথে সাথে প্রধান শিক্ষকরা ও মর্যাদার জন্যে ৯/৩/২০১৪ তারিখে প্রদেয় ২য় শ্রেণির যথাযথ মর্যাদা প্রাপ্তির নিরিখে আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে কোন সুরাহা না পেয়ে প্রধান শিক্ষকরা মহামান্য হাইকোর্টের দারস্থ হলে উচ্চ আদালত ২য় শ্রেণির মর্যাদাসহ প্রধান শিক্ষকদের ১০ ম গ্রেড প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন ১ বছর আগে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ালীগের নির্বাচনী ইশতিহারে সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনে বৈষম্যের নিরসনের কথা বলেছিলেন সেই নিরিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ও আন্তরিকভাবে প্রস্তাবনা প্রেরন করার পরেও অর্থ মন্ত্রনালয় মাননীয় আদালতের রায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন যা আদালত অবমাননাও বটে।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক শিক্ষায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করার স্বার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ন্যায্য দাবী মেনে না নিলে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিরুপ প্রভাব পড়বে। আন্দোলনের ফলে শিশুরা বছরের শেষ দিকে পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই এ বিয়য়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হম্তক্ষেপ এখনই প্রয়োজন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.