সরকারি আদেশ ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাসার বাজারসহ নানা কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে টঙ্গীর আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উল্লেখিত কর্মকাণ্ডসহ অসদাচরণের কথা উল্লেখ করে ১১ জন অভিভাবক মিলে থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সেলিনা আক্তার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই স্কুলে চাকরি করার সুবাদে এলাকার অধিকাংশ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশে আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল পরামর্শ দিয়ে পাশের কিন্ডার গার্টেন স্কুলে পাঠিয়ে দেয়।
স্কুলের স্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের তার বাসায় এসে ঐ শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যে সকল শিক্ষার্থী সেলিনার কাছে প্রাইভেট পড়তে চায় না তাদের দিয়ে তার বাসায় বাজারসহ সব ধরনের ব্যক্তিগত কাজ করাতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের ১১ জন অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা শিক্ষা অফিসার তদন্তের স্বার্থে বাদি ও বিবাদীকে স্কুল প্রাঙ্গণে নোটিশের মাধ্যমে তলব করেন। তদন্তের দিন অভিযোগকারী অভিভাবকরা সেখানে উপস্থিত হন এবং সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার সেখানে আসলেও তার পক্ষে সাফাই গাইতে স্থানীয় বহিরাগত একাধিক ব্যক্তিকে শিক্ষা অফিসারের কাছে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে থানা শিক্ষা অফিসার শিখা বিশ্বাস জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়ের সঙ্গেই কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করেছি। তদন্তের সময় যে সকল প্রমাণাদি পেয়েছি তার সঠিক প্রমাণ পত্র জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রেরণ করেছি। আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা জানান, শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ আমি শুনেছি। আমি থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে কয়েকবার বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু স্থানীয়ভাবে শিক্ষিকা সেলিনা প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, আমি কোনো শিক্ষার্থীকে দিয়ে আমার ব্যক্তিগত কাজ করাই না। আমার বিরুদ্ধে স্কুলের একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.