এইমাত্র পাওয়া

জাতীয়করণই একমাত্র দাবি –রনি

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।২০১৮ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন চলাকালে শিক্ষক সমাজকে কথা দিয়ে ছিলাম।

১০জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অব্যাহত ধর্মঘট শুরু হয়।প্রথম ১০দিন অবস্থান ধর্মঘট তার পরের ১০দিন অনশন ছিল। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা এ অনশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।তীব্র শীতে শত শত শিক্ষক কষ্ট করল,কুকুরের সাথে রাতে মাটিতে পড়েছিল আমার শত শত শিক্ষক।ওদের একটাই স্বপ্ন ছিল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।বেশ কয়েকটি সংগঠনকে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে অংশগ্রহণ করেছিলাম।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তখন কথা দিয়েছিলেন ৫%বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করবেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন।ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।কিন্তু জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশনে শিক্ষক সমাজের প্রাণের দাবি ছিল জাতীয়করণ।

তাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ তথা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে কাজ করে যাচ্ছি।১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ শুরু করেন।ওনার স্বপ্ন ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর মতো একজন উদার ও সহজসরল মানুষকে গভীর ষড়যন্ত্র করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট তাকে ও তাঁর পরিবারের ১৬জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থা বহু আগেই জাতীয়করণ হয়ে যেতো।আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ও প্রধানমন্ত্রী।শিক্ষক সমাজকে জাতীয়করণ নিয়ে আন্দোলন করার কথা নয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।২০২০ সালে মুজিববর্ষ ।ইতিমধ্যে সরকার মুজিব বর্ষ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।আমরা শিক্ষক সমাজ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক সৈনিক।অবশ্যই মুজিববর্ষ পালন করবো।৫লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বহু প্রত্যাশা মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর উওরসুরি ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণা দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।

জাতীয়করণ কি খুব কঠিন কাজ?মোটেও না।দরকার সরকারের সদিচ্ছা।প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নিয়ে এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণের পদক্ষেপ নিলে সরকারের রাজস্বের তেমন কোন ঘাটতি হবেনা বলে আমরা শিক্ষক সমাজ মনে করছি।তবে শিক্ষক সমাজকে জাতীয়করণের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয়করণের বাজেট দিয়েছি।সাক্ষাত্কার চেয়ে কয়েকবার চিঠিও দিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে বসবেন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.