এইমাত্র পাওয়া

প্রাথমিকের জন্য বিশাল সুখবর

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ১ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হলেও এ সংখ্যাকে দেড় লাখ করার চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে আর ইবতেদায়ি সমাপনীতে ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয় এ সংখ্যা যথাক্রমে ১লাখ ও ৫০ হাজার করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের মত এবারও সমাপনী পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে গত ২৪ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত এক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হয়। এতে সকলে সম্মতি জানিয়েছেন। বর্তমানে পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সারাদেশে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ কোটায় মোট ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

এছাড়া ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ৭ হাজার ৫০০ জনকে ট্যালেন্টপুল ও ১৫ হাজার সাধারণসহ মোট ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাবদ ট্যালেন্টপুলে মাসিক ৩০০ টাকা আর সাধারণ বৃত্তি বাবদ মাসিক ২২৫ টাকা করে দেয়া হয়।

সভায় সারাদেশে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীর বদলে এক লাখ ও ২২ হাজার ৫০০ জনের বদলে ৫০ হাজার অর্থাৎ সর্বমোট দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বৃত্তি প্রদান করার বিষয়ে সকলে সম্মতি জানান। পাশাপাশি বৃত্তির অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় আলোচনার ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রস্তাবনা পাওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে যৌক্তিক সংখ্যা নির্ধারণ করবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এফ এম মনজুর কাদির সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ও সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা ও অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সকলে সম্মতি জানিয়েছেন। ওই সভার পর অধিদপ্তর ও মাদরাসা বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করে যৌক্তিক বৃদ্ধির প্রস্তাব দ্রুতই পাঠানো হবে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading