শিক্ষাবার্তা ডেস্ক :
গ্লোবাল সেন্টার ফর প্লুরালিজম ২০১৯ সালের গ্লোবাল প্লুরালিজম অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ‘রূপান্তর’ রয়েছে।
গ্লোবাল সেন্টার ফর প্লুরালিজমের এ পুরস্কার মূলত একটি স্বীকৃতি। সমাজের নানা পর্যায়ে নেতৃত্ব, দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা ও স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য গ্লোবাল সেন্টার ফর প্লুরালিজম (www.pluralism.ca) এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
২০১৯ সালের চূড়ান্ত প্রতিযোগিরা বাংলাদেশসহ কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লেবানন, হাঙ্গেরি, ঘানা, ফ্রান্স, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ও প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার একাধিক দেশ থেকে এসেছে। এরা সকলেই বহুতাভিত্তিক সংস্কৃতির ওপর কাজ করেছে, অবদান রেখেছে শান্তিপূর্ণ গঠনমূলক কাজে, শিল্পকলায় ও শিক্ষায়।
মনোনীত প্রতিযোগিদের মধ্যে বাংলাদেশের রূপান্তর বেশ কয়েকটি কারণে এগিয়ে রয়েছে। প্রথমত, তারা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে ও একই সঙ্গে চরমপন্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করেছে। একেবারে সম্প্রদায়ের তৃণমূল স্তরে আলাদা আলাদা ধর্মের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আলাপ-আলোচনা ও সংলাপ ঘটাতে পেরেছে তারা।
এ কাজে তারা লোকসংগীত ও লোকনাট্যের ব্যবহার করেছে। এ ধরনের চেষ্টার মাধ্যমে সংগঠনটি সম্প্রদায়ের ভেতরে সংহতি ও নেতৃত্বের আয়োজন করতে পেরেছে। ফলে সম্প্রদায়ের ভেতরে দায়িত্ববোধ বেড়েছে এবং স্থানীয় শাসনের প্রতি এলাকার মানুষ সুগ্রাহী হয়েছেন।
এ বছর গ্লোবাল সেন্টার ফর প্লুরালিজম ৭৪টি দেশ থেকে ৫শ’র বেশি মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০১৭ সালে প্রথম যখন এ পুরস্কার দেওয়া হয় তার চেয়ে এবার দ্বিগুণের বেশি আবেদন পড়েছে। প্রত্যেক মনোনীত প্রার্থীকে একটি কঠোর পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, যার শেষে জুরি সদস্যরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিদের বাছাই করেন।
সবশেষে শরৎকালে তিনজন বিজয়ী নির্বাচিত হবেন। বিজয়ীদের বিভিন্ন দেশে মন্ত্রণাসভায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেক বিজয়ী ৫০ হাজার ডলার করে পুরস্কার পাবে, যা দিয়ে তাদের নিজস্ব সংস্থার বহুতা-সংক্রান্ত কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.