বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি থেকে সরকারি সাত কলেজকে বাদ দেয়ার দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২১ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। সকাল আটটার আগে এসব ভবনের তালা খুলতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর থেকে এসব ভবন এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ সকাল ৯টার দিকে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মু. সামাদ তার কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের বাধায় ঢুকতে পারেননি। এ সময় প্রো-ভিসি তাদের বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একক কোনো সিদ্ধান্ত না, জাতীয় সিদ্ধান্ত। তাই কোনো কিছু করতে হলে একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত তোমরা আন্দোলন স্থগিত করো।’
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়নি।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘সাত কলেজ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গলার কাঁটা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ সেখানে অতিরিক্ত সাত কলেজের পৌনে ২ লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্বভার গ্রহণ অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত। তাই তারা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চান।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আকাশ হোসেন আবির বলেন, ‘আমরা সাত কলেজের বিরোধী না। আমরা চাই সাত কলেজে সঠিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হোক। কিন্তু সেটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায় থেকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। কারণ সাত কলেজ পরিচালনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথেষ্ট জনবল ও অন্যান্য সামর্থ্য নেই।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া সাত কলেজের অধিভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।’
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.