ঢাকাঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আবাসন ও আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার (২১ জুন) থেকে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলন চলাকালীন শনিবার কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং রোববারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়েনি এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা এখনই ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। মঙ্গলবার (২৩ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলমের সঙ্গে বৈঠকের পরই তাদের ক্লাসে ফেরার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি নিম্নরূপ—
১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করতে হবে।
২. ছাত্রাবাস নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করতে হবে।
৪. আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।
সোমবার সকাল ১১টায় সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলমও। বৈঠক শেষে কে-৭৯ ব্যাচের আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। তবে বাজেট বাস্তবায়ন ও বিকল্প আবাসনের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
নোমান বলেন, “আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু সেই প্রস্তুত পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বৈঠকের সময়ই এনাটমি বিভাগের দেয়াল ভেঙে পড়েছে। কোথায় শিফট করা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, আমরা সেজন্য অপেক্ষা করছি।”
মঙ্গলবার (২৩ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকের পরই ক্লাসে ফেরার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৬/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.