চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামকে দ্বায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে স্বপদে ফিরে যেতে এবং তার অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে সকল শিক্ষক- কর্মচারীদের আয়োজনে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার বেশ কিছু দিন পর বাইরুল ইসলাম সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় নিয়ম মেনে দায়িত্ব নিয়ে ১৫ বছর যাবত অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষার মান ধ্বংসের তলানীতে নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে বক্তব্য দেন, ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আনিকুল ইসলাম।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলাম যেদিন থেকে এ দ্বায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকে বিদ্যালয়ের অফিসের সব ধরনের ফাইল পত্র তার নিজ বাসায় নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতায় কাউকে তোয়াক্কা না করে অদ্যাবধি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মানববন্ধন শেষে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর বিএড পাসের সনদ জালসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ সম্বলিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করা হবে।
মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা, বাগান, ফসলি জমি, টিউশন ফি, শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনর টাকা ও পুকুর লীজের টাকা আত্মসাতের পূর্ণ তদন্তপূর্বক, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান ।
এদিকে ২৮ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও এলাকার সুধীজনের অংশগ্রহণে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট সংলগ্ন সড়কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের অপসারণ, বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের উপর আনিত বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ গুলো ক্ষতিয়ে দেখে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য অবহিত করেন। এতে সভাপতি কালক্ষেপণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সভাপতিকে সকোজ নোটিশ প্রেরণ করেন এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পত্র দেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৭/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.