ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের মন থেকে সহিংসতার প্রভাব দূরীকরণের লক্ষ্যে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ইউজিসি ও ইউনেস্কো’র যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সভাকক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারের দমন-পীড়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক কল্যাণ বিষয়ক গবেষণার ইনসেপশন রিপোর্ট উত্থাপন করেন।
এসময় আরো ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোছা. জেসমিন পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ায়র অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মেহেজাবিন হক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, ইউজিসির আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুহম্মদ নাজমুল ইসলাম, স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আকরাম আলী খান, ইউনেস্কোর ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট শওকত-উল-ইসলাম এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সমন্বয়ক রবিউল সানি শিপুসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তীতে ১৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.