এইমাত্র পাওয়া

শিশু সুরক্ষায় শিশু অধিকার কমিশন গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর, আর কত অপেক্ষা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু। তাদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের ওপরই নির্ভর করছে দেশ ও সমাজের অগ্রযাত্রা। অথচ যৌন নির্যাতন, বিপজ্জনক শ্রম, অবহেলা, অনলাইনসহ নানা সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা।

সর্বশেষ মাগুরার আট বছরের অবুঝ শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় বর্তমান পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোথাও নিরাপদ নয় শিশুরা। বিজ্ঞাপন শিশুদের অধিকার রক্ষায় যেসব আইন আছে সেগুলোরও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কিন্তু শিশুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যেমন কার্যকর নয়, তেমনি জবাবদিহিমূলকও নয়।

তাই পৃথক শিশু অধিদপ্তর এবং শিশু অধিকার কমিশন গঠন এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও শিশু অধিদপ্তর গঠনের দাবিটি অনেক পুরোনো। নানা মহলে আলোচিত এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে এসেছিল প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যেন বাতাসে বুদবুদের মতো। বিজ্ঞাপন শিশুর অধিকার রক্ষায় সক্রিয় সামাজিক সুরক্ষা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী-কর্মকর্তারা বলছেন, এ দেশে যুব উন্নয়নের জন্য আলাদা অধিদপ্তর আছে। অধিদপ্তর আছে মহিলাদের জন্য, শ্রম ও শ্রমিকদের জন্য। এ ছাড়া মৎস্য ও বন সুরক্ষায়, প্রাণিসম্পদ রক্ষায় আলাদা অধিদপ্তর আছে।

অথচ দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশই যেখানে শিশু সেখানে তাদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য নেই আলাদা অধিদপ্তর। শিশুর অধিকার নিয়ে সোচ্চার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট থাকায় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মতো শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর থাকলে তাদের সম্পর্কিত সব বিষয়ে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হতো। বিজ্ঞাপন আরও পড়ুন শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করার দাবি ‘দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়’ ১১ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য আলাদা সংস্কার কমিশন গঠন করা হলেও শিশুদের জন্য করা হয়নি।

বর্তমানে শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন-নিপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে ‘শিশু অধিকার কমিশন’ গঠন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীন বাংলাদেশে শিশুর উন্নয়নে ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত শিশুর সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। অথচ শিশুদের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির কাজ শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনে সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর রয়েছে।

অথচ শিশুর প্রতি অন্যায়, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে সুরক্ষা ও প্রতিকারে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং সামাজিক উন্নয়নের ভবিষ্যৎ অংশীদার হিসেবে শিশুর অধিকারের বিষয়ে সরাসরি ভূমিকা রাখার জন্য গড়া হয়নি আলাদা অধিদপ্তর।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে প্রথম ‘শিশু অধিকার আইন’ প্রণয়ন করা হয়। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে (সিআরসি) স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। শিশুর সুরক্ষার জন্য নানা আইন ও নীতিমালা করা হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানের ২৮ (৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নারী বা শিশুদের জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

এর মাধ্যমে শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও দায়বদ্ধতাকে সুস্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন কাঠামোতে শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা সুস্পষ্ট করা হলেও তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার প্রশ্নে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন প্লান ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক নিশাত সুলতানা। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে রয়েছে আইনি সীমাবদ্ধতা, আইন বাস্তবায়নে প্রতিকূলতা, উদ্যোগের অভাব এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিশু আইন ২০১৩–এর খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া এবং শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অভাব। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিশুর অধিকার লঙ্ঘনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ত্রুটিও।’ ‘শিশুদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভালের জন্য একক কোনো অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় নেই। একাধিক মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বিষয়টি দেখে।

একেকটি মন্ত্রণালয় একেক বিষয়ে ফোকাস করে। যে কারণে অনেক ধরনের সমন্বয়হীনতা দেখা যায়। আমরা চাই শিশুদের জন্য একক ও পৃথক অধিদপ্তর। যারা শুধু শিশুদের ফোকাস করে কাজ করবে। এ ছাড়া অনেক বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশন হলেও শিশুদের জন্য সুপারিশ করার কমিশন এখনও হয়নি। সেটিও আমরা চাই।’

প্রতিশ্রুতি আছে বাস্তবায়ন নেই ২০১৬ সালে ১০টি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার জোট ‘চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছিলেন, ‘শিশুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তর থাকা জরুরি। কারণ, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। যুব ও নারীদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর থাকলে শিশুদের জন্য কেন নয়? তাদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর চাওয়া অতিরিক্ত কিছু নয়।’ ওই সময় তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেবেন। এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে সংবাদও পরিবেশিত হয়।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আরও পড়ুন সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না : তারেক রহমান তীব্র গরমে আক্রান্ত শিশুরা, সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ চিকিৎসকদের শিশুকে যৌন নির্যাতন : ঝুঁকি নির্ণয় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা ২০২২ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকও শিশুদের জন্য পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠনে আশ্বস্ত করেছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের কথাও জানানো হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে সেটিরও অগ্রগতি হয়নি। শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও সরকারকে সুপারিশ করেছিল। সরকার সুপারিশটি গ্রহণ করলেও তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর গঠনের বিকল্প নেই সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের পরিচালক (চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রটেকশন) আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ‘দেশের শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দেশের ৪৪ শতাংশ শিশুকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার মতো জনবল, অবকাঠামো, সক্ষমতা ও দক্ষতা এ প্রতিষ্ঠানের নেই। শিশুদের নিয়ে কাজগুলো বিক্ষিপ্ত ও অসমন্বিতভাবে করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ চিত্র কোথাও নেই। নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় যতটুকু কাজ করে শিশুদের নিয়ে, তার চেয়ে বেশি কাজ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। আরও বেশি কাজ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ কাজগুলো সমন্বিতভাবে হওয়া উচিত। এ জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। আলাদা অধিদপ্তর গঠনের কোনো বিকল্প নেই।’ ‘অথচ শিশু অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। জনবল কাঠামোও গঠন করা হয়েছিল। সেটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। কোথায় যেন আটকে আছে।

এখন যে পরিস্থিতি সরকারের উচিত দ্রুত এটি গঠন করা।’ মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশুর সাম্প্রতিক নির্মম ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় জনপরিসরে ভীতি তৈরি করেছে যে, নিকট আত্মীয় এমনকি নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নয় শিশুরা গত ১৬ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকার বিষয়ক এনজিওদের প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশুর সাম্প্রতিক নির্মম ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় জনপরিসরে ভীতি তৈরি করেছে যে, নিকট আত্মীয় এমনকি নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নয় শিশুরা।’ তিনি বলেন, শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় যুক্ত থাকলেও তাদের কল্যাণের বিষয়টি মূলত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মতো শিশুদের জন্য কোনো আলাদা অধিদপ্তর নেই, যা শিশুদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়ে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মহিলাবিষয়ক সংস্কার কমিশনের মতো ‘শিশু বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ প্রতিষ্ঠার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। শিশুদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন শিশুদের প্রয়োজন।

আমরা চাই সরকার অনতিবিলম্বে শিশুদের সমস্যাগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দিক, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের ক্ষেত্রে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি রাখে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে।’

এ বিষয়ে প্লান ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, ‘গত ১০ বছরে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে পাঁচ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৩০০-এর বেশি হত্যার ঘটনা আছে। সবচেয়ে ভয়াবহ যে চিত্রটি আমরা দেখি, ধর্ষণের নৃশংসতার মাত্রা দিনদিন বেড়ে চলেছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা যখন কথা বলতে যাই, আলোচনা করতে যাই, তখন বিভিন্ন বিষয় সামনে আসে। তখন আমরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ি।

কিন্তু তারপর কী হয়? আমরা দেখি সরকার কিছু আইনি পদক্ষেপ নেয়। এরপর আমরা যে যার মতো কাজে ফিরে যাই। পরে আবার আমরা দেখি ঘটনাগুলো ঘটছে। আন্দোলন বা কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার থেকে সরকারের উচিত ভালো করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা এবং কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে; কী কারণে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না— সেসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।’

‘আমরা মনে করি, শিশু সংস্কার কমিশন অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শিশু অধিদপ্তর প্রয়োজন। যার মাধ্যমে শিশুদের অধিকার নিয়ে সারা বছর কাজ করা যাবে।’ পরিচিত পরিমণ্ডলে অর্থাৎ শিশুদের পরিবার, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা খেলার মাঠ— এ জায়গাগুলোতে পরিচিত লোকদের দ্বারা অহরহ শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয়।

যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আমরা প্রতিকারের কথা বলব কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সবচেয়ে বেশি জরুরি। শিশুদের কথা, মতামত ও উদ্বেগের বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত আরও পড়ুন হতাশা-নির্যাতন-বঞ্চনায় বিঘ্নিত রোহিঙ্গা শিশুর ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ বিশ্বে অনলাইন যৌন নির্যাতনের শিকার ৩০ কোটিরও বেশি শিশু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম অ্যান্ড প্লানিং) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিচিত পরিমণ্ডলে অর্থাৎ শিশুদের পরিবার, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা খেলার মাঠ— এ জায়গাগুলোতে পরিচিত লোকদের দ্বারা অহরহ শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয়। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আমরা প্রতিকারের কথা বলব কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সবচেয়ে বেশি জরুরি। শিশুদের কথা, মতামত ও উদ্বেগের বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

তাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিশ্বাস করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বৃহত্তর জনসম্পৃক্ততা ছাড়া শিশু নির্যাতন, হত্যা কিংবা আজকের যে পরিস্থিতি; এটি থেকে তাদের সুরক্ষার অন্য কোনো উপায় নেই। অতএব আমাদের কমিউনিটির সম্পৃক্ততা জরুরি।’

শিশু একাডেমি হবে শিশু অধিদপ্তর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন অধিশাখা) মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আলাপ-আলোচনা হয়েছে। শিশু একাডেমিকে শিশু অধিদপ্তরে রূপান্তর করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে, শিশু একাডেমিও থাকবে।’ ২০১৬ সালের প্রতিশ্রুতি নয় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। শিশু অধিদপ্তর গঠনের প্রাথমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ সচিব মহোদয় দেশের বাইরে আছেন। তারা আসলে…. উদ্যোগ এগোবে।’

শিক্ষাবার্তা /এ/০১/০৪/২০২৫

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading