নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ টাংগাইলের কালিহাতি উপজেলাধীন মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ভুয়া প্রার্থী দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ১০ ফ্রেবয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের নিজস্ব কক্ষে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি ছিলেন কালিহাতি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাফা কবীর, মাউশি মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ছিলেন সন্তোষ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের প্রধান শিক্ষক মো: তোফাজ্জল হোসেন।
শিক্ষাবার্তা’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোট ৯জন প্রার্থী প্রধান শিক্ষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ জন প্রার্থী। প্রকৃত পক্ষে, হযরত আলী ও জান্নাতারা এবং আব্দুস সমাদ নামে দুজন ভুয়া প্রার্থীর উপস্থিতে উক্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
আব্দুস সামাদ নামে ভুয়া প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার পূর্বেই পালিয়ে যায়। অপর একজন ভুয়া প্রার্থী যাকে জান্নাতারা সাজানো হয়েছে তিনি আর কেউ নন তিনি ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর স্ত্রী হোসনে আরা, যিনি ঘাটাইল উপজেলার লোকের পাড়া ফাজিল মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হযরত আলী জানান, তারা মোট তিনজন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। একজন তিনি (হরযত আলী) অপর দুজন আব্দুস সামাদ ও জান্নাতারা। পক্ষান্তরে, আব্দুস সামাদ এবং জান্নাতারা তাদের বক্তব্যে বলেন যে, তারা সঠিক নিয়মে বৃষ্টির দিনে আবেদন পত্র জমা দেন। কিন্তু তাদেরকে ইন্টারভিউ কার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়নি এবং তারা কোনো লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেননি। জান্নাতারার স্বামী জানান, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরোয়ার আলম, তার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার শর্তে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুস দাবি করেন কিন্তু তিনি তা দিতে অসম্মতি জানান।
এ ব্যাপারে জান্নাতারা গত ২৯ আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে তারিখে কালিহাতি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় সদস্য সচিব প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শিক্ষাবার্তা’কে জানান, ‘আমি বর্তমানে হুমকির মুখে জীবনযাপন করছি। আমাকে প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত ও প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে আসছে এক মহল।’
এলাকাবাসী জানায়, প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর নিয়োগই অবৈধ, তাহলে তিনি আবার নিয়োগ পরীক্ষার সদস্য সচিব হয়ে মোটা অংকের ঘুস নিয়ে অফিস সহায়ক, পরিছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেন কিভাবে? এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এ/২৭/০৩/২০২৫
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.