এইমাত্র পাওয়া

আয়নাঘর মৃ-ত্যু-র একটি ফাঁদ: ড. মুহাম্মাদ সৈয়দুজ্জামান

আয়নঘর (Aynaghor) শব্দটি রোমান শব্দ হাউজ অফ মিরার হতে সৃষ্টি হয়েছে। এটি একটি কথোপকথন শব্দ যা গোপন আটক কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কে নির্দেশ করে ডি জি আই এফ, গোয়েন্দা বাহিনী এবং বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা শাখা দ্বারা পরিচালিত হয় এটিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয় এর মধ্যে ঘুমখানা শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

এটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এক গোপন আস্তানা যেখানে বিরোধী মতামতের বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক রাখা হয় যে গোপন আস্তানায় সেটি হলো আয়নঘর। কক্ষগুলিতে এই আয়না ঘরের গোপনকক্ষে দেওয়া হতো বিস্কুট ও জলের বোতল দিনরাত প্যাক প্যাক শব্দে অ্যাডজাস্ট ফ্যান চলত।

আয়নাগর হচ্ছে অত্যন্ত আলোকবিহীন অন্ধকার ঘর যেখানে বাহিরের কোন শব্দ শোনা যায় না কিংবা ভিতরের কোন শব্দ বাহিরে যায় না এখানে বরবরচিত জীবনযাপন করতে হয়েছে এখানে হঠাৎ করে ধরে নিয়ে একদম গুম করে দেওয়ার মত করে এ ঘরে ঢুকানো হয় এমনভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় যার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।পায়ের মধ্যে ইলেকট্রিক শখ দেয়া হয়, এবং বেদরক লাঠি পিটা করা হয়।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোন শত্রু থাকেনা থাকে প্রতিযোগী। চিন্তা, কর্মসূচী ও সংগঠন প্রসারের মাধ্যমে জনগনের কাছে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমানের ধারায় নির্বাচনে বিজয়ীরা তাদের ম্যান্ডেট পায়। আইন, প্রশাসন সকল নাগরিকদের জন্য সমান সুযোগ বজায় রেখে রাজনীতির পার্থক্য থেকে দুরে থাকে। আর এরই ধারাবাহিকতায় স্বাভাবিক ট্রানজিশনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়।

কিন্তু প্রতিযোগীকে যখন শত্রুতে পরিনত করে আমিই একমাত্র যোগ্য দেশপ্রেমিক হিসাবে উপস্থাপন করে প্রশাসন, বিচার বিভাগে মেকানিজম তৈরি করা হয় তখনি সেটা স্বৈ রা চার হয়ে ফ্যা সি জমে রুপান্তরিত হয়। তখন নির্বাচন আর হয়না, বা মেকানিজম করা হয়। তখনি গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটে।

সো, রাজনীতিতে তর্ক, বিতর্ক, পথ নিয়ে বহু আলোচনা হতেই হবে। কিন্তু প্রশাসন, বিচারবিভাগ, নানান ব্যবসা দখল, টেন্ডার দখল থাকতে পারবেনা বা এর বিরুদ্ধে ঐক্যমত্য থাকতেই হবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি।

এই স্বাভাবিক গণতন্ত্রের মহাসড়ক বিনির্মানে যারাই বিরোধী হবে তাদের বিরুদ্ধেই বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই চিন্তাশীলদের কাজ।
মুশকিল হলো দেশে এই মানুষের সংখ্যা নগন্য এবং আমরা কমবেশি বায়াসড। আমরা দোষারোপ করি আত্মসমালোচনা করিনা। রাজনীতি চলে যায় সংসদ, সেমিনার, উঠোন সভা থেকে রাজপথের মিছিলে। আমরা পথ হারাই, হারাইতেই থাকি। আবার অন্ধকার আসে, আবার র ক্ত দিতে হয় তরুনদের। এ যেনো এক মরীচিকা…
তার,
গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানে চিন্তাকে আগে না হয় প্রভাবমুক্ত রাখি।

লেখক – শিক্ষক ও গবেষক। 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading