এইমাত্র পাওয়া

দিন কাটছে আতঙ্কে

নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তিনি। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার আদাবর এলাকায়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ শেষে বাসায় ফেরার জন্য তিনি শেরেবাংলা নগর থেকে একটি লোকাল বাসে ওঠেন। বসেন বাসের ডান দিকে, জানালার পাশে।

বাসটি শ্যামলী স্কয়ারে এসে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য গতি খুব ধীর করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ডান হাতে একটি দামি মুঠোফোন ছিল। হঠাৎ বাসের বাইরের দিক থেকে তাঁর ডান হাত বরাবর চাপাতি দিয়ে এক যুবক আঘাত করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক যুবক। শিক্ষকের ডান হাতে থাকা মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেন তাঁরা।

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপকের। তিনি জানান, এখন মুঠোফোন নিয়ে বাইরে চলাচল করতে ভয় পান। আরও ভয় পান এটিএম কার্ড নিয়ে বের হতে।

এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, ‘একজন নাগরিক যদি রাত-বিরাতে চলাচল করতে ভয় পান, ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আশঙ্কা যদি সারাক্ষণ তাঁর মধ্যে কাজ করে, তাহলে বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগের। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর আমি ট্রমাটাইজড (মানসিক আঘাতের ধকল) হয়ে পড়েছি। নতুন মোবাইল কিনেছি, কিন্তু সেটি নিয়ে চলতে আমার ভয় লাগে।’

একটি মুঠোফোনে একজন ব্যক্তির নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য থাকে বলে উল্লেখ করেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমার মোবাইল ফোনে থাকা গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যাংকে যে হিসাবে আমার বেতন আসে, তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোন যুক্ত। তাই আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, ছিনতাইকারীরা আমার বেতনের টাকা তুলে নিয়ে যায় কি না। তারা বেতনের টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু আমার ব্যাংক হিসাব থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নিল। পরে আমি দুটি নম্বরই বন্ধ করে দিই। নতুন সিম নিই। কিন্তু মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যদি ছিনতাইকারী কিংবা অন্য কেউ কোনো অপরাধ করে, তখন দায়ভার তো মূল ব্যবহারকারীর ঘাড়েই চলে আসবে।’

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ‘প্রতিদিন কারও না কারও মোবাইল ফোন ছিনতাই হওয়ার খবর জানতে পারি। বেশির ভাগ মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় না। যার মোবাইল যায়, সে জানে, কতটা ঝুঁকিতে সে পড়েছে।’


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading