ঢাকাঃ ১৯৭১ সালের ২ মার্চে আ স ম আব্দুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদান উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ইতিহাস নির্মাতারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে।’ আজ রোববার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আব্দুর রব। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, যাঁরা ইতিহাস নির্মাণ করেন, তাঁরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন আ স ম আব্দুর রব। আমরা তাঁকে ঐতিহাসিক এই দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ঐতিহাসিক এই দিবস উদ্যাপনে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করব দেশের অভ্যুদয়ের স্মৃতিবিজড়িত এ আয়োজনগুলো নিয়মিত করে যেতে। এসব উদ্যাপন দেশে বিদ্যমান নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং প্রতিকূলতার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে। দেশের ঐক্য ধরে রাখতে এসব আয়োজন অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছে। এই গর্ব এখনো আমাদের সাহস জোগায়। ফলে আমরা পুরো জাতিকে ঐক্য ধরে রাখার সাহস দেওয়ার চেষ্টা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ২ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। পরে ৯ মাসের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের ঐক্যের জায়গা। এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। সব ধরনের আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় পতাকা সামনে নিয়ে একতাবদ্ধ হয়। আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হব।
অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, একটি দেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ ব্যক্তি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৩/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.