ঢাকাঃ আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত প্রথম থেকে ১২তম নিয়োগপ্রত্যাশীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন এই ঘোষণা দেন। সচিবালয়ে বৈঠক শেষে শাহবাগে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন।
জি এম ইয়াছিন জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তাই তারা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে আন্দোলনরত নিয়োগপ্রত্যাশীদের আট প্রতিনিধিকে সচিবালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি গাড়িতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সচিবালয়ে রওনা দেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা আমির আসহাব, প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন, সমন্বয়ক আল মুমিন, সমন্বয়ক মো. মোস্তফা কামাল, সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, সদস্য তসলিমা খাতুন শিল্পী, সদস্য রাজিয়া সুলতানা (রথি) এবং বিভাগীয় প্রতিনিধি আব্দুল মমিন পলাশ।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত (তৃতীয় ধাপ) শিক্ষকরা এবং ১ থেকে ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটের দিকে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
পুলিশের লাঠিপেটা আর জলকামান নিক্ষেপের পর ১ থেকে ১২তম এনটিআরসি নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন। তবে ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে সায়েন্সল্যাবগামী সড়ক বন্ধ করে রাখেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
এরপর এদিন বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে মূল সড়ক ছেড়ে রাস্তার পাশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর শাহবাগের চারটি সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর পুনরায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারী দুটি গ্রুপ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। পরে রাতে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারের দিকে চলে যান।
আজ আবারও জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা। তবে এনটিআরসিএ’র নিয়োগপ্রত্যাশীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও প্রাথমিকের আন্দোলনকারীরা জাদুঘর থেকে সরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে চলে গেছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০২/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.