এইমাত্র পাওয়া

নতুন চাকরিতে আবেদন করার কার্যকর কৌশল

নিউজ ডেস্ক।। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, একেকটি করপোরেট চাকরির জন্য গড়ে ২৫০টি আবেদন জমা পড়ে, আর লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে অনেক চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মাত্র এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই অসংখ্য আবেদন জমা হয়। তীব্র এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

প্রতিদিনই মানুষ নতুন চাকরি পাচ্ছে, আর তারা এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে, যা নিয়োগকর্তাদের সরাসরি নজর কাড়ে। নিচে কিছু কার্যকর কৌশল উল্লেখ করা হলো, যা আপনাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক চাকরিপ্রার্থী হতে সাহায্য করবে।

আলাদা রেজ্যুমে এবং কভার লেটার তৈরি করুন

একই ধরনের রেজ্যুমে বা কভার লেটার দিয়ে সব চাকরির আবেদন করলে চলবে না। প্রতিটি চাকরির জন্য আলাদা করে এগুলো তৈরি করুন। কারণ, একেক চাকরির জন্য একেক ধরনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। যেই চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সেই চাকরির জন্য প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরুন। চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে থাকা শব্দগুলো আপনার আবেদনপত্রে ব্যবহার করুন।

দায়িত্ব নয়, অর্জন দেখান

রেজ্যুমেতে শুধু আপনার কাজের দায়িত্বের তালিকা না দিয়ে সাফল্য তুলে ধরুন। কীভাবে আপনার দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের জন্য মূল্য সৃষ্টি করেছে, তা দেখান। উদাহরণ হিসেবে সেলস বৃদ্ধি, খরচ সাশ্রয় অথবা দক্ষতা বৃদ্ধি করার মতো পরিমাপযোগ্য ফলাফল উল্লেখ করুন।

নিয়মিত দক্ষতা উন্নত করুন

পেশাগত সার্টিফিকেশন বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন দক্ষতা অর্জন করুন। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য নিজেকে উন্নত করতে থাকুন। নিয়োগকর্তারা এমন প্রার্থীদের পছন্দ করেন, যাঁরা নিজেদের উন্নতিতে বিনিয়োগ করেন।

পেশাগত নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে রেফারেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাগত ইভেন্টে অংশ নিন, সংগঠনের সদস্য হোন এবং অনলাইন কমিউনিটিতে সক্রিয় থাকুন। সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

অনলাইন প্রোফাইল শুদ্ধ করুন

আপনার অনলাইন প্রোফাইল, বিশেষত লিংকডইন আপডেট রাখুন। পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও তৈরি করুন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেশাগত ক্ষতি হতে পারে—এমন কিছু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।

আপনার অর্জনের গল্প বলুন

ইন্টারভিউর সময় উদাহরণ দিয়ে দেখান, আপনি আগে কীভাবে নির্দিষ্ট দক্ষতা কাজে লাগিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় গল্প তৈরি করুন, যা আপনার অভিজ্ঞতাকে বাস্তব এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।

সক্রিয়ভাবে চাকরি খুঁজুন

চাকরির সুযোগ আপনার কাছে আসার অপেক্ষায় না থেকে নিজেই উদ্যোগ নিন। যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক চাকরিতে সরাসরি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না; তাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পরিচিতি বাড়ান।

রেফারেন্স ও সুপারিশ সংগ্রহ করুন

শক্তিশালী রেফারেন্স ও সুপারিশ আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। লিংকডইনে পরিচিত সহকর্মীদের কাছ থেকে ছোট্ট টেস্টিমোনিয়াল যোগ করতে বলুন বা আবেদনপত্রে ব্যবহারযোগ্য সুপারিশ সংগ্রহ করুন।

নিজের অনন্য মূল্য তুলে ধরুন

কীভাবে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা এবং ভালো কাজ করতে পারবেন, তা স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন। রেজ্যুমে, কভার লেটার এবং ইন্টারভিউতে এটি দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরুন।

চাকরির বাজারে সফলতা কেবল সঠিক যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে না; নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরার কৌশলগুলো ব্যবহার করলে আপনি আবেদনকারীদের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন না, বরং নিয়োগকর্তার নজরে পড়বেন।

সূত্র: লিংকডইন

শিক্ষাবার্তা/এ/২২/০১/২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.