নিউজ ডেস্ক।।
দেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৪৫ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাচ্ছে এবং ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোগী স্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছেন। এই আড়াই কোটি কিডনি রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) কিডনি ফাউন্ডেশনের কনভেনশন হলে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস, ২০২৪’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল-‘স্বাস্থ্য: এটি পরিবারের নাকি সরকারের দায়িত্ব’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, বর্তমানে নেফ্ররাইটিস রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা মোট কিডনি রোগীর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ। এত বিপুলসংখ্যক কিডনি রোগীর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়, যাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ রোগী ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে সক্ষম। এই ২০ ভাগ রোগীর মধ্যে অর্থনৈতিক কারণে ছয় মাসের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী ডায়ালাইসিস বন্ধ করতে বাধ্য হন। বাকি রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ রোগী হেমোডায়ালাইসিস, শতকরা ২-৩ ভাগ রোগী বাসায় বসে ডায়ালাইসিস এবং শতকরা ২-৩ ভাগ রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনে সক্ষম হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, বাংলাদেশে এই বিপুলসংখ্যক কিডনি রোগীর মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যে পরিবারের সহযোগিতা ও সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। পরিবারের সদস্যদের কিডনি রোগ ও তার পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের দেশে কিডনি রোগীদের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ফলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ কর দিতে চায় না, কারণ তারা কর দিয়ে উপকার পায় না। জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জনগণকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ‘মানুষ চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যান, কারণ আমাদের দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার চাইতে বিদেশে চিকিৎসাব্যয় অনেক কম।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন তৈরি হয়েছে, সেখানে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা নেই।’
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.