ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা’র বিরুদ্ধে। উপজেলায় মোট ৮৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫৬ জন শিক্ষকের নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা (চাঁদা) তুলেন তিনি।
জানা যায়, আবু তাহের নামে এক সাংবাদিকের অসুস্থতার কথা বলে সহকারী শিক্ষকদের থেকে ১০০ টাকা করে এবং প্রধান শিক্ষকদের থেকে ২০০ টাকা চাঁদা নেন এই কর্মকর্তা। তবে আবু তাহের নামে নগরকান্দায় কোন সাংবাদিক নেই এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়। উৎকণ্ঠা বাড়ে স্বল্প বেতনে চাকরি করা শিক্ষক সমাজের মধ্যে। তাহলে কোথায় গেলো তাদের দানের টাকা?
এ বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, আবু তাহের নামে একজন অসুস্থ সাংবাদিকের কথা বলে প্রত্যেক সহকারী শিক্ষকের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ১০০ টাকা করে এবং প্রধান শিক্ষকদের থেকে ২০০ টাকা আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছে। পরে জানতে পারি আবু তাহের নামে নগরকান্দায় কোন সাংবাদিক নেই। তিনি প্রায় প্রতি মাসেই বিভিন্ন অসুস্থ রোগীর কথা বলে ১০০ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা নেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা’র সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যান।
ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদদীন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি তাঁকে (রওনক আরা) ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি অসুস্থ সাংবাদিকের জন্য টাকা তুলেছেন তা আমাকে বলেননি। হয়ত অধিদফতর থেকে কোন প্রেয়ার এসেছিল তাই তুলেছেন। আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব।
এদিকে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি আমি জানি না, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৫/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.