শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে “কাজী আজহার আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ মুজিবুরের বিরুদ্ধে অনিয়মের পাহাড়” শিরোনামে শিক্ষাবার্তা’য় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে কাজী আজহার আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাওলাদার মুজিবুর রহমান।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকম অনলাইন পত্রিকায় ১৭ নভেম্বর,২০২৪ তারিখে “কাজি আজহার আলি কলেজের উপাধ্যক্ষ মুজিবুরের বিরুদ্ধে অনিয়মের পাহাড়” শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন অসত্য, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা আমার নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ২০১৬ সালে পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ খায়রুল আলম স্যারের নেতৃত্ত্বে উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব নিযুক্ত হয়ে কলেজের কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ডে দ্বায়িত্ব পালন করি। উক্ত কাজের ব্যয় নির্বাহের সকল খরচের বিল ভাউচার অধ্যক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিই যা কলেজে সংরক্ষিত আছে। ২০১৯ সালে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরে গেলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আমি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হয়। এক পর্যায়ে পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আমি অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করি এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ হতে পদত্যাগ করি এবং কর্তৃপক্ষ কলেজের জৈষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে আমাকে হেনস্থা করার জন্য একটি কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে কথিত বানোয়াট দুর্নীতীর অভিযোগ আনলে তদন্ত সাপেক্ষে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আজিজুর রহমান আমাকে নির্দোষ ঘোষনা করেন এবং পরিচালনা পরিষদের ১১/১০/২০২২ তারিখের সভায় ( সভা নং -৭) আমাকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান করেন। পুনরায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ হতে পদত্যাগ করে অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করি কিন্তু অধ্যবধি অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় ও নিয়োগ কার্যক্রমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ইং ০৫/১১/২০২৪ তারিখে নতুন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করিতেছি। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে আমার এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে বিধায় আমি প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সকল প্রমাণ শিক্ষাবার্তা’র হাতে রয়েছে। কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে উক্ত সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
পরিশেষে, শিক্ষাবার্তা’ বহুল প্রচারিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের বহুল আকাঙ্ক্ষিত একটি গণমাধ্যম। এখানে কোন ব্যক্তির প্রলোভনে প্রলোভিত হওয়ার কোন ধরণের সুযোগ নেই। যারা জাল-জালিয়াতি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাবার্তা’য় সংবাদ পরিবেশন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.