নিউজ ডেস্ক।। মুখস্থ নির্ভরতা কমিয়ে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার জন্য ২০২৩ সাল থেকে চালু হয় নতুন কারিকুলাম। ওই বছর তিন শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর আরও চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন চলছে। এ শিক্ষাপদ্ধতি বাস্তবায়নে নানা অসংগতি ও অভিভাবকমহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। আগের পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিল করায় চরম ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। আন্দোলনও করেন তারা। অনেকটা গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়া সেই কারিকুলাম অভিভাবকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত ১ সেপ্টেম্বর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
চলতি শিক্ষাবর্ষের নয় মাসের মাথায় এসে ওই কারিকুলাম বাস্তবায়ন বন্ধ করে ডিসেম্বরে আগের নিয়মে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নযোগ্য না হলেও পাঠ্যবই চলতি বছরের জন্য বহাল থাকবে। একইসঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের বই থেকে আগের পদ্ধতিতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আন্দোলন করা অভিভাবকরা। মারজানা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, নতুন কারিকুলাম চালুর পর আমার বাচ্চারা স্কুলের যেতে চায় না। পড়ালেখার চেয়ে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত ছিল। এজন্য শুরু থেকেই কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছি।
নতুন কারিকুলাম বাতিলের জন্য আন্দোলন করে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনের আহ্বায়ক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) সম্পাদক রাখাল রাহা বলেন, পতিত সরকার অনেকটা গায়ের জোরে জাতির ওপর নতুন একটি কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই কারিকুলামের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
কিছু দাতা সংস্থা ও গুটিকয়েক শিক্ষাবিদের পরামর্শে চালু হওয়া সেই কারিকুলাম বাতিল হওয়ায় অভিভাবকরা খুশি।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.