এইমাত্র পাওয়া

এটা লজ্জার, বেদনার: ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ। এ নিয়ে নেটদুনিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। বিষয়টি লজ্জার ও বেদনার বলে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে, সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেলো। ফল কি হয়েছিল আমরা জানি।’

প্রশ্ন রেখে নির্মাতা বলেন, ‘আচ্ছা স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃংখল অবস্থা ছিল, এমন কী যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারি নাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?’

সবশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমার উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ জন মববাজি করতে আসলে দুইজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এরকম চারজন ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার। সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।’


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading