এইমাত্র পাওয়া

নতুন শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষকদের দেওয়া প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: নতুন শিক্ষাক্রমে বদলে গেছে মূল্যায়ন পদ্ধতি। এখন কেবল একাই নয়, দলীয়ভাবেও দিতে হচ্ছে পরীক্ষা। সরজমিনে দেখা যায়, মুখোমুখি বেঞ্চে দলগতভাবে কাজ করে এ পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অথচ, একটা সময় পরীক্ষা মানেই ছিল- ঘোরানো যাবে না ঘাড়, বলা যাবে না কথা। চুপচাপ লিখতে হবে নিজের লেখা।

ষাণ্মাসিক পরীক্ষার মাধ্যমে বদল এসেছে সেই অবস্থায়। মুখস্থ বিদ্যার বদলে কে কতটুকু বুঝলো তা যাচাইয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই কখনো এককভাবে, কখনো জোড়ায় বা দলীয়ভাবে হচ্ছে পরীক্ষা। আবার সারা বছর স্কুলের শিখনকালীন মূল্যায়নও যোগ হবে সামষ্টিক মূল্যায়নে। সঙ্গে গ্রেডিং পদ্ধতিও বদলে যাবে নতুন ৭ সূচকে, যা প্রকাশ করা হবে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, কীভাবে আমাদের মূল্যায়ন করা হবে সেটি যদি আমাদের আরও আগে থেকে বলতো, তবে আমাদের জন্য ভালো হতো। এছাড়া ইউটিউবে প্রশ্ন আগেই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে আমাদের পরীক্ষাটা সঠিকভাবে হচ্ছে না।

তবে কেউ কেউ আবার এমন পদ্ধতিতে খুশি। তাদের ভাষ্য, দলগতভাবে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা মিলেমিশে পরীক্ষা দিতে পারছি। এজন্য খুব ভালো লাগছে।

যদিও শিক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, নতুন শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন নিয়ে দেয়া প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়ছেন মূল্যায়ন টুকে রাখার নৈপুণ্য অ্যাপ নিয়েও। তারা বলেন, এই অ্যাপ মনে হচ্ছে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিষয়গুলো উঠাতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। সরকার আমাদের জন্য আরও কিছু কর্মশালার ব্যবস্থা করলে আমরা এগুলো পুরোপুরি রপ্ত করতে পারব।

ক্লাস-পরীক্ষা কীভাবে কি হচ্ছে, তা বুঝতে খাবি খাচ্ছেন (হিমশিম) অভিভাবকরাও। হতাশা জানিয়ে তারা বলেন, বই সম্পর্কে বা তাদের পড়াশুনা সম্পর্কে কী যে হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আর অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারার দায় শিক্ষকদেরই।

তবে এসব বিষয়ে আগেই অংশীজনদের মতামত নেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন শিক্ষা গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, মূল্যায়নটা হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থারই একটি অংশ। তবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এই কারিকুলাম এবং মূল্যায়ন কোনোটিই শুরু করিনি, যার কারণে সমস্যায় পড়ছেন সবাই। মনে রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা গিনিপিগ নয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৭/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading