এইমাত্র পাওয়া

লালমনিরহাটে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

 

লালমনিরহাট:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবাদ সম্মেলনে এ অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবি করেন স্থানীয় অভিভাবকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিভাক তমিজার রহমান বলেন, গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায়। নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের নিকট থেকে পরীক্ষার খরচ বাবদ ফি গ্রহণের বিধি থাকলেও তা কৌশলে এড়িয়ে যান। কোনো ধরনের ফি ছাড়াই আবেদনকারীদের আবেদনপত্র অনুমোদন করেন। এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে গত ২ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষার আহবান করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। ওই দিন যথাসময়ে আবেদনকারীরা উপস্থিত হলেও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি।

এদিকে পরীক্ষাগ্রহণ ছাড়াই ওই দিনেই তাদের পছন্দের প্রার্থী মোহসেনা বেগমকে নিয়োগপত্র প্রদান করে। যা নিয়ম বহির্ভূত বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন অভিভাবকরা। উক্ত নিয়োগপত্র প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহসেনা বেগমকে যোগদান করাতে গত ৪ ও ৫ এপ্রিল সভা করেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তবে উক্ত সভায় ১০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৫ জন স্বাক্ষর করেন। যা বিধিসম্মত নয়। এ ছাড়াও উক্ত কমিটি ৫ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ন হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য সফল করতে উক্ত নিয়োগ গোপনে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় অভিভাবকরা দাবি করেন।

নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় এ অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মজিদ হোসত, সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম, দবির উদ্দিন, অভিভাবক জয়নাল আবেদিনসহ অনেকে।

গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় বলেন, উক্ত নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহসেনা বেগমের যোগদান সভায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ১০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৫ জন স্বাক্ষর করেছেন। যা বিধিমতো কোরাম হয়েছে কি না তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভালো জানবেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.