নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৪১তম বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৮৬৬ (আটশত ছেষট্টি) জন প্রার্থীকে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে পদায়ন করা হয়েছে।প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে টাকা ২২০০০-৫৩০৬০/- বেতনক্রমে শর্ত স্বাপেক্ষ নিয়োগ প্রদান করা হয়। পদায়ন পাওয়া এসব শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা দুই বছরের আগে বদলির আবেদন করতে পারবেন না। আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. তারিখের মধ্যে এসব কর্মকর্তাদের পদায়ন কৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাঃ রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাদের পদায়ন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের ২৫(ক) থেকে ২৬ (খ) নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত ৮৬৬ (আটশত ছেষট্টি) জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে টাকা ২২০০০-৫৩০৬০/- বেতনক্রমে নিম্নবর্ণিত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
শর্তসমূহ:
- তাঁকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে;
উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাঁকে তাঁর চাকুরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে; - তাঁকে ০২ (দুই) বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাঁকে চাকরি হতে অপসারণ করা যাবে;
- উপানুচ্ছেদ (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণ সাফল্যের সাথে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে;
- উপানুচ্ছেদ (ক) এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাঁকে একজন জামানতদারসহ ৩০০/- (তিনশত) টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার ০৩ (তিন) বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাঁকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম/ভ্রমণভাতা/অন্যান্য ভাতাদি ও তাঁর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয়িত সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল হতে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাঁকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে;
- তাঁর ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পূর্বে যদি তিনি তাঁর কর্তব্য কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে উপানুচ্ছেদ (ঙ) অনুযায়ী তাঁর নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এ্যাক্ট, ১৯১৩ এ বিধান অনুসারে আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
- ৪১তম বি.সি.এস. পরীক্ষার, ২০১৯ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী তাঁর জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে:
- যদি তিনি কোন বিদেশি নাগরিককে বিবাহ করে থাকেন অথবা বিবাহ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে থাকেন তবে এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে;
- চাকরিতে যোগদানকালে তাঁকে যোগদানপত্রের সাথে ৩০০/- (তিনশত) টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করতে হবে যে, তিনি নিজের বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য কোন যৌতুক নিবেন না এবং কোন যৌতুক দিবেন না;
- এ প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি, এরূপ ক্ষেত্রে তাঁর চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান ও আদেশ প্রযোজ্য হবে এবং সরকার কর্তৃক ভবিষ্যতে প্রণীতব্য বিধি-বিধান ও আদেশ অনুসারে তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে;
- The Government Servants (Conduct) Rules, 1979 এর ১৩(১) উপবিধি অনুযায়ী তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন / দখনে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র তাঁকে চাকরিতে যোগদানের সময় সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ১৩ (২) উপবিধি অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বর মাসে প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস/বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগে জমা দিতে হবে।
- চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোন ভ্রমণ ভাতা/দৈনিক ভাতা পাবেন না;
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ২১/০৩/২০১৪ খ্রি. তারিখের 05.00.0000.147.11.013.23-87 নং প্রজ্ঞাপনের অনুচ্ছেদ-১ এ উল্লিখিত শর্তাবলী তাঁর নিকট গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হলে আগামী ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. পূর্বাহ্ণে তাঁকে নিম্নবর্ণিত কর্মস্থলে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
পদায়ন পাওয়া ৮৬৬ (আটশত ছেষট্টি) জন প্রার্থীর তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.