ভোলাঃ জেলার বাপ্তা গ্রামে ৯নং ওয়ার্ডে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নির্যাতন করায় স্বামীর বিচার দাবি করেছেন স্ত্রী উম্মে হাফছা।
ভোলা প্রেস ক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে উম্মে হাফছা তার পিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন, মা বিবি মরিয়মের উপস্থিতিতে নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন।
উম্মে হাফছার স্বামী মিজানুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। বাড়ি বাপ্তা কলঘাট এলাকায়।
২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পারিবারিক মতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে হাফছার বিয়ে হয়। ৯ মাস আগে জন্ম নেয় কন্যাসন্তান মাহেরা রহমান। কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুরু হয় নতুনমাত্রায় নির্যাতন। মাদ্রাসা করার কথা বলে দাবি করেন ২ লাখ টাকা। ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও হাফছাকে পাঠিয়ে দেন বাবার বাড়ি। ৯ এপ্রিল ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান।
এ বিষয়ে হাফছা বেগম লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করলে স্বামী মিজানুর রহমান আর এমন কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করেন; কিন্তু আদালত থেকে বেড় হয়ে ফের আগের ভূমিকা ধারণ করেন বলে জানান হাফছা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা সালিশি বৈঠক ডাকলে ওই বৈঠক উপস্থিত হন না মিজান।
মিজানুর রহমান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার স্ত্রী কথা শোনে না।
হাফছার মা বিবি মরিয়ম বেগম জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। প্রায়ই মেয়ের ওপর নির্যাতন করা হয়। এখন ৯ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে হাফছা কোথায় যাবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.