বিশ্বের বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষাব্যবস্থার সব পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে। তাতে লেখাপড়ার বিষয়বস্তুকে ছবি, অডিও-ভিজ্যুয়াল, অ্যানিমেশন ইত্যাদি ব্যবহারে আরও অনেক আকর্ষণীয়, সহজবোধ্য ও জ্ঞাননির্ভর করে উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চারপাশেই প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সমাজে চলাফেরা করা অনেকটা দুর্বিষহ বলা যায়।
UNESCO কর্তৃক গঠিত Information and Communication on Education for Twenty-Fast Century এর একটি প্রতিবেদনে তথ্য প্রযুক্তি বা আইসিটিকে একবিংশ শতাব্দির জন্য আবশ্যকীয় দক্ষতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার নিশ্চিত করণে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই সরকারি-বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি ভিত্তিক পড়াশোনা চালু করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে।
শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব রয়েছে। একটি সময় ছিল, যখন শিক্ষার্থী কোনো বিষয় জানার প্রয়োজন হতো তখন ব্যক্তি বা বইয়ের ওপর পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করতে হতো।অনেক ক্ষেত্রে জানার বিষয়গুলো আজীবন অমিমাংশিতই থেকে যেতো। যেই বিষয়ে জানা যেতো, তাও ছিল সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।কিন্তু প্রযুক্তি আসার পর সকল অনিশ্চয়তা কাটিয়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জ্ঞানভান্ডার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছে সহজলভ্যতা। সেই সাথে তৈরি হয়েছে অপার সম্ভাবনা।
প্রযুক্তি ভিত্তিক পড়াশোনা মূলত সামাজিক জীবনে শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে রাখে। তাছাড়া, Teaching -Lerning কার্যক্রমকেও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করার এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে আইসিটি।গবেষণায় দেখা গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারে শিক্ষা উপকরণ গতানুগতিক শিক্ষা উপরকণের চেয়ে অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।শিক্ষকগণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে সফলভাবে পাঠদান করতে পারেন।
আবার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ও বইয়ের সীমানা ছাড়িয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো জ্ঞান -বিজ্ঞানের তথ্য সহজেই জানতে পারে।এতে করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন অনেক বেশি সহজ হয়। তাছাড়া, প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনা অনেকটা কর্মমূখী, যা শিক্ষার্থীদেরকে ক্যারিয়ার জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করতে অনুপ্রাণিত করে।
লেখকঃ খান আল মুস্তাসীম বিল্লাহ
প্রভাষক,কাজি আজহার আলি কলেজ
ফকিরহাট, বাগেরহাট।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.