এইমাত্র পাওয়া

সচিবের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমানে সচিব এবং চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জলিয়াতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মো. তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশান উইং) প্রফেসর মো. আমির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল এর খন্দকার আজিজুর রহমান। তদন্তের বিষয়ে জানতে কথা হয় প্রফেসর মো. আমির হোসেনের সাথে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কমিটির চিঠি এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি। তবে এই কমিটি খুবই শক্তিশালী কমিটি। আগামী রবিবার চিঠি হাতে পেলে তদন্তের কাজ শুরু করবো।’

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে এবং বর্তমানে সচিব হিসেবে কর্মরত থাকায় তদন্তে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর মো. আমির হোসেন বলেন, ‘কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আমাদের নিয়মে কাজ করবো। অবশ্যই একটি সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।’

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এই তদন্ত কমিটি গঠিত হলো।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমানে সচিব এবং চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। শুধু বাংলা বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে সে জিপিএ-৫ পান। কিন্তু চতুর্থ বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ায় সামগ্রিক ফলাফল সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। কিন্তু বাংলায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বোর্ডের নিয়মানুযায়ী পুন:নিরীক্ষণের আবেদন করতে গেলে দেখতে পান কে বা কারা আগে থেকে সব বিষয়ের জন্য আবেদন করে রেখেছেন। এতে নিজের সন্তানের জন্য শঙ্কিত হয়ে ছেলের পক্ষে তার মা বনশ্রী নাথ পাঁচলাইশ থানায় গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে জিডি করেন। সেই জিডিতেকে পুন:নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন তা বের করার আবেদন জানানো হয়। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায় পুন:নিরীক্ষণের আবেদনে রেফারেন্স মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আলীমের মোবাইল নম্বর। এঘটনায় প্রফেসর আবদুল আলীমকে পুলিশ ডেকেছিলও। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘কে বা কারা আমার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করেছেন আমি জানি না।’ তিনি এ ঘটনায় প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথকে দায়ী করে পাল্টা আরেকটি জিডি করেছিলেন কোতোয়ালী থানায়। পরবতীর্তে পুলিশ জিডির রিপোর্ট সাবমিট করার পর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরিজম ইউনিটে মামলা দায়ের করে বনশ্রী নাথ। মামলায় প্রফেসর আবদুল আলিম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীকে আসামি করা হয়।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.