ঢাকাঃ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ ক্রমেই মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯৯৯ এর সেবা পেতে ১১ হাজার ৪৮৪ জন মানুষ কল করেছেন। যার মধ্যে শব্দদূষণে বিরক্ত হয়ে অভিযোগ কল করে তথ্য দিয়েছেন ১ হাজার ১৭৫ ভুক্তভোগী।
৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন।
ঈদের ছুটিতে ৬টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে ৯৯৯। সেগুলো হলো, শব্দদূষণ, মারামারি, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জিম্মি করা, জুয়া ও সন্ত্রাস বা জনশাস্তিমূলক কর্মকাণ্ড।
ঈদের ছুটির ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে এক হাজার ১৭৫টি কল পেয়েছে ৯৯৯। এছাড়া সর্বোচ্চ কল এসেছে মারামারির ঘটনায় তিন হাজার ১০৬টি, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় ৬৮৬টি কল, জিম্মি করার অভিযোগে ৬৮৬টি কল, জুয়ার অভিযোগে ৫৯৭টি কল ও সন্ত্রাস বা জনশাস্তিমূলক কর্মকাণ্ডে ৫৭৫টি কল করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি।
এসব কলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জরুরি সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ। এগুলোর বাইরে এবার ঈদে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগেও ভুক্তভোগীদের সেবা দিয়েছে ৯৯৯।
নাগরিকদের জরুরি সেবা দিতে পুলিশের অধীনে পরিচালিত জরুরি কল সেন্টার ৯৯৯ চালু হয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর। এখান থেকে শুধু পুলিশ নয়, জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এই সেবার জন্য ফোন করতে পারেন। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে এ সেবা। ৯৯৯–এ ফোন করতে কোনো খরচও নেই, এটি টোল ফ্রি।
জরুরি এই কল সেন্টারে বেশিরভাগ কল করেন ঢাকায় অবস্থানকারীরা।
রাজধানীর শব্দদূষণ দিন দিন বাড়ছে। এই নীরব ঘাতক রোধ হচ্ছে না। এর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগও তেমন নেই। রাজধানীতে গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দদূষণ হচ্ছে। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গত বছরের এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.