নিজস্ব প্রতিবেদক।।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট কাজ শুরু হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের। গত আট মাসে চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি হিসাবে ৪৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। আর এতে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি ব্যক্তি।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার দেয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রবাস স্কিমে ৫৯৮ জন, প্রগতিতে ১১ হাজার ১০৫ জন, সুরক্ষায় ১৬ হাজার ৩৭৬ জন ও সমতা স্কিমে ২৬ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি যুক্ত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মাঝখানে কিছুদিন ধীরগতি ছিল, এখন মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বেড়েছে। আশা করছি এই গতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চলতি বছরের জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগদান করবেন, তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তারা সবাই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন। গত ২০ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন ইস্যু করেছে।
এক্ষেত্রে সর্বজনীন পেনশনের সদস্য আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা স্কিমের আওতায় সদস্য বাড়াতেও কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়া যাবে। এছাড়া মাসিক পেনশনবাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত হিসেবে রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৬/০৪/২০২৪