ঢাকাঃ রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর এ উৎসব উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও সেজেছে রমনার বটমূল। বৈশাখী উৎসবকে বর্ণিল করে তুলতে আয়োজকরা সেরে নিচ্ছেন শেষদিকের প্রস্তুতি৷
শনিবার (১৩ এপ্রিল) চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষ দিন। তাই পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনের উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক অংশ রমনা বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই রমনা বটমূলে বৈশাখী ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে মঞ্চে প্রস্তুতি শুরু করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। তাদের সঙ্গে অন্য শিল্পীরাও আয়োজনে অংশ নেন। দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে তাদের এই প্রস্তুতি।
ছায়ানটের শিল্পীরা জানান, এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সোয়া ৬টায়। শেষ হবে ৮টা ৩০ মিনিটে। তবে অংশগ্রহণ এবং গান পরিবেশনার ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানের পরিধি আরও বাড়তে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এবার রমনা বটমূলে প্রবেশগেটের সংখ্যা আটটি। তার মধ্যে প্রবেশপথ তিনটি যথাক্রমে অরুণোদয়, রমনা রেস্তোরাঁ, অস্তাচল। বের হওয়ার পথ দুটি যথাক্রমে বৈশাখী ও উত্তরায়ণ। একই সঙ্গে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ তিনটি যথাক্রমে শ্যামলিমা, স্টার গেট এবং নতুন গেট। প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং র্যাব। তাদেরও নববর্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
রোববার বেলা ১১টায় রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্ষবরণ উৎসব আয়োজনে সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রত্যেকটি ইউনিট সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই। আমরা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.