নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিল্লালুর রহমান নামের ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) যশোরে মনিরামপুর থানায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের ছবি সম্বলিত পোস্টারে কালি দেয়ার ঘটনায় আটক করে এনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বিল্লালুর রহমান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পলাশ বিশ্বাস।
আহত বিল্লালুর রহমান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর সরকারি কলেজ থেকে সদ্য মাষ্টার্স শেষ করেছেন। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা তিনি।
ভুক্তভোগীর মা খাদিজা বেগম বলেন, ঈদের রাতে পুলিশ তার বড় ছেলে বিল্লালকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারাও সঙ্গে সঙ্গেই থানায় চলে আসেন। কী অপরাধে ছেলেকে ধরে আনা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ওই রাত থেকে তারা থানার গোলঘরে ছিলেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেলের জন্য খাবার আনতে বাড়িতে যান তিনি। ফিরে এসে দেখতে পান হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি থেকে বিল্লালকে নামানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীর মা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে, তাদেরকে জানানো হয় তার ছেলের পেটে সমস্যা দেখা দেয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখতে পান, তার ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার জন্য পুলিশের বিচার দাবি করেছেন বিল্লালের মা।
এদিকে বিল্লালুর রহমানের সঙ্গে ইকবাল হোসেন নামের আরও এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ইকবাল হোসেনের পিতা তরিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্টারে কালি লেপটে দিয়েছে, যার দায়ভার ছেলের ওপর চাপিয়ে ঈদের রাতে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে মারধর করেছে পুলিশ।
মারধরের শিকার বিল্লালুর রহমান জানান, ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস হকিস্টিক দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেছেন।
মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তির ছবি ও লেখার ওপর কালি দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে ধরে আনা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিল্লালুর রহমানের বাম হাত ভেঙে গিয়েছে। তবে এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে এই ঘটনা ফাঁস হলে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও আহতদের স্বজনরা থানা ঘেরাও করে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, আটক ২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.