নিউজ ডেস্ক।।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ৬-৯ এপ্রিল চারদিনে ৫৭ লাখ সিমধারী রাজধানী ছেড়েছেন। আর এ সময়ে ঢাকায় ঢুকেছেন ২৩ লাখের মতো সিমধারী। তবে গত বছর ঈদুল ফিতরে এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন।
অপারেটরদের তথ্যমতে, চার দিনের মধ্যে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ১৯ লাখের মতো সিমধারী ঢাকা ছেড়েছেন। আর প্রবেশ করেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া ৬ ও ৭ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছিলেন ২০ লাখের বেশি মুঠোফোন সিমধারী। এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন সাড়ে ৯ লাখের মতো। ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে বের হওয়া ও ঢাকায় প্রবেশ করা সিমধারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭ লাখের বেশি ও ৫ লাখের মতো।
তবে সিমধারী একজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের অন্য অনেক সদস্য থাকেন, যারা মোবাইল ফোন সংযোগ ব্যবহার করেন না। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে কত জন গেল এবং কত জন এলো, তার প্রকৃত হিসাব বের করা কঠিন।
তথ্য বলছে, গত বছর ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে (১৮-২২ এপ্রিল) এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন। সে হিসেবে এবার প্রায় অর্ধেকের মতো মানুষ ঈদের আগে ঢাকা ছেড়েছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তথ্য থেকেও এমন চিত্রই উঠে আসে। তারা জানায়, প্রতিবছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী থেকে মানুষের বাড়ি ফেরার ব্যাপক চাপ থাকলেও, এ বছর সেই চাপ অনেকটাই কম ছিল। বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির ম্যানেজার ও কাউন্টার মাস্টাররা জানান, অন্যবারের মতো মানুষ এবার ব্যাপকভাবে রাজধানী ছাড়েনি।
গাবতলী টার্মিনালের মূল ভবনে গ্রামীণ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আতাউর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘এবার পুরো রমজান মাসে ব্যবসায় মন্দা। ২৩ রোজা পর্যন্ত তেমন কোনো যাত্রীই পাইনি। যাত্রীর অভাবে ট্রিপ দিতে না পেরে কোম্পানির ১৪টি বাস বসিয়ে রাখা হয়েছে।’
২৩ রোজার পর ঘরে ফেরা যাত্রীদের সংখ্যা একটু বাড়লেও তা অন্যবারের মতো ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের তিন-চার দিন আগে একটু যাত্রীর চাপ থাকলেও তা লোকসান পোষানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। ঈদের আগের দিনও তাদের সিট খালি রেখে ট্রিপ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবার অর্ধেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.