এইমাত্র পাওয়া

লক্ষ্মীপুরে ১১ গ্রামে ঈদ উদযাপন

লক্ষ্মীপুরঃ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও তালিমুল কুরআন নূরানী মাদরাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন শতাধিক মুসল্লি।

এ উপজেলার ৪টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়, হানাফি মাজহাব অনুসারে ঈদ পালন করছেন বলে জানিয়েছেন ইমাম ও মুসল্লিরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে। তারা পৃথকভাবে স্ব-স্ব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন। সকাল সাড়ে ৭টায় রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ার, সাড়ে ৯টায় পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। হানাফি মাজহাব অনুসারে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা এক দিন আগে ঈদ পালন করে আসছেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসার ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান জানান, আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করি না। আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না।

এ জন্য মানুষ সৌদি আরবের এক দিন পর ঈদ করত। কিন্তু এখন যোগাযোগব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এ জন্য হয়তো সোদি আরবের সঙ্গে আমাদের মিল হয়ে যায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.