বাংলাদেশে ঈদ হতে পারে কবে জানালো জ্যোতির্বিদরা!

ঢাকাঃ বিদায়ের পথে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্বের মুসলিমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের। ঈদের দিনকে রোজা ভঙ্গ করার উৎসবও বলা হয়। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের গণনা অনুযায়ী এ বছর ৩০টি রোজা হতে পারে। ফলে সৌদি আরবসহ তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশে আগামী ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরবে যেদিন ঈদ পালিত হয়, পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ হয়। যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। খবর আল জাজিরা

চন্দ্রবর্ষ হিসেবে প্রতিটি মাসই ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ বছর রোজা কতটি হবে তা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। সোমবার (৮ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যে ২৯টি রমজান হবে। এদিন বাসিন্দাদের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট। যদি ৮ এপ্রিল চাঁদ দেখা যায় তাহলে ৯ এপ্রিল সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর পালিত হবে। আর চাঁদ না দেখা গেলে ৩০ রমজানই পূর্ণ হবে।

ঐতিহ্যগতভাবে তিনদিনব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়ে থাকে। বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করে থাকে। তবে কোন দেশ কতদিন ছুটি ঘোষণা করে তা নির্ভর করে আর্থসামাজিক অবস্থানের ওপর।

মুসলিমরা পবিত্র ঈদের উৎসব শুরু করেন নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। এদিন সংক্ষিপ্ত খুতবা দেয়া হয়। ফজরের নামাজের পরই এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

একটি খোলা মাঠে পবিত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুসলিমরা আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিতে থাকেন। যার অর্থ আল্লাহ মহান।

নামাজের আগে মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি মুখ করার রেওয়াজ আছে। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে খেঁজুর এবং বিস্কুট পরিবেশন করা হয়। যাকে মামুল বলা হয়। এছাড়া মুসলিম বিশ্বে পবিত্র ঈদের দিন নাস্তা খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে।

এদিন মুসল্লিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। খোঁজ খবর নেন প্রতিবেশীদেরও। শিশুরা নতুন জামা কাপড় পরিধান করে এবং তারা বড়দের কাছ থেকে ঈদের সালামি হিসেবে অর্থ পেয়ে থাকেন।

নারী ও কিশোরীরা ঈদের দিন হাতে মেহেদী দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করেন। অনেকে আবার চাঁদের রাতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ভিড় করে হাতে মেহেদী দেয়ার জন্য।

অনেক দেশে আবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার আগে কবর জিয়ারত করা হয়ে থাকে। যেসব পরিবারের লোকজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জীবিত আত্মীয়রা করবস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করে থাকেন।

তবে এবারের ঈদে গাজার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসরায়েলের হামলায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন অবস্থায় স্বজন হারানোর শোক ও দুঃখ নিয়ে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি এবার ভিন্ন এক পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে খাবার ও পানির সংকট।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.