এইমাত্র পাওয়া

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হতে পারে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে এসব তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে নিজ নিজ জেলার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তদন্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে এই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

গত ২৩ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ জনকে আটকও করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে একাধিক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে জেল-জরিমানা করা হয়। পরে এই পাবলিক পরীক্ষা আইন ও সরকারি নিয়োগ পারীক্ষায় বাধা দেওয়া আইনে একাধিক মামলা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় ফৌজদারি আইনে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলাগুলো বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। পাশাপাশি যে চার জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে, সেসব জেলার প্রাথমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে তদন্ত প্রতিবেদন ডিপিইতে পাঠানোর কথা রয়েছে। পরে সেটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ধাপের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যাবে, ওই ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্নীতি বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ৬১ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৪ ও ৩১ মে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হয় ২১ জুন। চুতর্থ ধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.