বরিশালঃ অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক)। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজে ৭২টি বিভাগে অনুমোদিত ২০৫ পদের ১০৭টিই শূন্য। ফলে এখানে মাত্র ৯৮ শিক্ষক প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন। একেকজন শিক্ষককে নির্ধারিত ক্লাসের চেয়ে তিনগুণ বেশি পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে পড়ালেখার গুণগত মানে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই অবিলম্বে সংকট সমাধানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তথ্যানুযায়ী, শেবামেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ৬৯, এমবিবিএস-এ ১ হাজার ১৪২ এবং বিডিএস-এ ২২০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ কলেজে অধ্যাপকের ৪৮ পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪১ জন। কর্মরত রয়েছেন মাত্র সাতজন। সহযোগী অধ্যাপকের ৬৩ পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩৯টি। সহকারী অধ্যাপকের ১১৮ পদের বিপরীতে শূন্যপদ ৫৯টি। এছাড়া প্রভাষক, মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাসিস্টের ৭৯ পদের বিপরীতে শূন্য পদের সংখ্যা হচ্ছে ৩৬টি। এর মধ্যে এনাটমি বিভাগে অনুমোদিত ১৮ পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৭টি। ফিজিওলজি বিভাগে ৯ পদের বিপরীতে ৪টি শূন্য। ফার্মাকোলজি বিভাগে ১১ পদের বিপরীতে খালি রয়েছে ৪টি। ফরেনসিক মেডিসিনে ৮ পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪টি। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ১১ পদের বিপরীতে শূন্যপদের সংখ্যা ৪টি। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ৮টি পদের বিপরীতে তিনটি পদ খালি। প্যাথলজি বিভাগের ১২ পদের বিপরীতে তিনটি পদ শূন্য। মেডিসিন বিভাগের অনুমোদিত ২১ পদের বিপরীতে ১৩টি পদ খালি রয়েছে। শিশু বিভাগে ৯টি পদের বিপরীতে শূন্যপদ হচ্ছে তিনটি। ডার্মাটোলজি বিভাগের তিনটি পদের বিপরীতে দুটিই শূন্য। নেফ্রোলজি বিভাগের তিনটি পদের সবকটিই শূন্য। সাইকিয়াট্রিক বিভাগে পাঁচ পদের বিপরীতে চারটিই শূন্য। ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহাবেনিটেশন বিভাগে তিনটি পদের বিপরীতে দুটি শূন্য। নিউরো মেডিসিন বিভাগের চারটি পদের বিপরীতে তিনটি শূন্য। নিউরোলজি বিভাগের একটি পদ থাকলেও তা শূন্য রয়েছে। সার্জারি বিভাগে সাত পদের বিপরীতে শূন্য পদ সংখ্যা তিনটি। জেনারেল/ক্লিনিক্যাল নিউরোসার্জারি বিভাগের তিনটি পদের বিপরীতে তিনটিই শূন্য।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক সংকটে আমরা চাহিদা অনুযায়ী ক্লাস করতে পারছি না। দ্রুত শিক্ষক সংকট দূর করা না গেলে পাঠদান কার্যক্রমে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমরা দক্ষ চিকিৎসক হতে এ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। যদি নিজেকে দক্ষ চিকিৎসক হিসাবে গড়তে না পারি তাহলে দেশেরই ক্ষতি হবে। অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান চাই।
একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষক সংকট থাকায় অতিরিক্ত ক্লাসের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ারও সময় পাই না। এ সমস্যার সমধান খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মু. ফয়জুল বাশার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা প্রত্যেক মাসেই প্রতিবেদন পাঠাই। আমাদের আশ্বস্ত করা হলেও সমাধান হচ্ছে না। কারণ দেশজুড়েই শিক্ষক সংকট রয়েছে। জনবল বৃদ্ধির জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.