এইমাত্র পাওয়া

নাগেশ্বরীতে ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন জাল সনদধারী

কুড়িগ্রামঃ জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল ও ভুয়া সনদে শিক্ষকতার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকতা পেশায় ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের ছড়াছড়িতে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ও উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট তথ্য ও উপাত্তে উপজেলার ১১টি মাদ্রাসা, ২টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ২টি কলেজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল সনদধারী রয়েছে। তালিকায় ভিতরবন্দ ফাজিল মাদ্রাসায় ৪ জন, বুডীরহাট দাখিল মাদ্রাসায় ৬ জন, খামার হাসনাবাদ ইসলামিয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ৪ জন, এনামগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় ২, গোপালপুর পীরবাড়ী দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ১, সাপখাওয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ২, বডবাড়ি দাখিল মাদ্রাসায় ১, মোমিনপুর আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসায় ১, নেওয়াশি আলিম মাদ্রাসায় ৩, পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসায় ১, পূর্ব সুখাতি দাখিল মাদ্রাসায় ১, গোলেরহাট ফাজিল মাদ্রাসায় ১, চর বলরামপুর নায়েবিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১, কচাকাটা কলেজে ১, ভিতরবন্দ কলেজে ২, কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ ও নাখারগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন সহকারী শিক্ষকের নাম এসেছে। তথ্যানুসন্ধানে, নিয়োগকালীন সময়ে বা পরে নিয়োগ বোর্ড, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জাল সনদ শনাক্তে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায়, যে যার মতো যুক্ত হয়ে পড়েছেন শিক্ষকতায়।

মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদপত্র সংগ্রহে সহায়তা করা ও নিয়োগে শিক্ষকদের ঘুষ লেনদেন আর নিয়মের ফাঁক গলে তাদের সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যানবেইজ (বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো), এনটিআরসিএ বা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ফৌজদারি অপরাধে মামলা, এমপিও বন্ধ, চাকরিচ্যুত, বেতন ভাতা আদায়সহ ৭ ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তিবলে সিংহভাগ জাল সনদধারী বহাল রয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৫ই জুন ২০২৩ এ জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ১৩ জন জাল সনদধারী শিক্ষকের তালিকা পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্বপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। অথচ, তারা এখনো স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বহাল রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, বিষয়গুলো অবগত নই। তবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার সামছুল আলম বলেন, ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিষয়ে খতিয়ে দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার আহমেদ জানান, এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করবেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার নেই। এসব বিষয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/১১/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.