ঢাকাঃ বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ। ১৯৪৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গতানুগতিক কাজের থেকে ক্রিয়েটিভ কাজের দিকেই তার আগ্রহ বেশি ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই চাইতেন ছবি পরিচালনায় আসতে। তাই স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেই ঢাকার ফিল্ম পাড়ায় ঘোরাঘুরি শুরু করেন। মেধা-পরিশ্রম দিয়ে হয়ে উঠেছেন একজন কাজী হায়াৎ।
সম্প্রতি একটি সিনেমা মুক্তির ঘোষণা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে ছোটবেলা স্মৃতিচারণ করেন কাজী হায়াৎ।
এই পরিচালক বললেন, ‘আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন ‘কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক’ কবিতা আবৃতি করতে মঞ্চে উঠেছিলাম। দুই লাইন পড়েই ভুলে গিয়েছিলাম। তখন হাউ মাউ করে কাঁদছিলাম। প্রধান শিক্ষক আমাকে কোলে করে মঞ্চ থেকে নামিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমার মনে একটা জিদ তৈরি হয়েছিল- আমি একদিন স্টেজে অনেক বক্তৃতা করব। এরপর বি-কম প্রথম বর্ষে ভিপি হয়ে কলেজে বহু মানুষের সামনে বক্তৃতা করেছিলাম। সেই বক্তৃতা নাকি কলেজের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা হিসেবে আছে।’
১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন কাজী হায়াৎ। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সীমানা পেরিয়ে সিনেমায়ও ছিলেন সহকারী পরিচালক। ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করেন তার প্রথম সিনেমা ‘দি ফাদার’। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা নির্মাণ করেন।
তার মতে, তিনি চেষ্টা করেছেন ছবিতে দেশপ্রেম, মানুষের মুক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলার। তিনি বলেন, আমাদের এই দেশে উন্নত সিনেমার চেয়েও জরুরী এমন সিনেমা, যেখানে মানুষ বিনোদনের সঙ্গে একটি বার্তা পায়।
১৯৯৪ সালে ‘দেশপ্রেমিক’ ও ২০০২ সালে ‘ইতিহাস’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে কাজী হায়াৎ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মোট ৭৩টি বেশি পুরস্কার অর্জন করেছেন। বর্তমানে এ নির্মাতা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.