বাঘারপাড়া (যশোর) থেকে অাজম খাঁনঃ সৃষ্টিকর্তার লীলা বোঝা বড়ই দায়। এদেশে কারো কারো বস্তা বস্তা অবৈধ টাকা গড়াগড়ি যাচ্ছে, অপরদিকে একই দেশের অালো বাতাসে বেড়ে ওঠা বাগধারা বাগবিধির সেই গোবরে পদ্মফুলের জলন্ত উদাহরন বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী নয়ন হোসেন চুয়েট ও কুয়েটের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও সামান্য ১৫ হাজার টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না।
যশোর সদরের কচুয়া ইউনিয়নের রায়মানিক গ্রামের হতদরিদ্র ইসমাইল হোসেনের ছোট ছেলে নয়ন হোসেন ছোটবেলা হতেই অসম্ভব মেধাবী। সে এসএসসি ও এইসএসসিতে এ(+) প্রাপ্ত হয়ে এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েট ও কুয়েটের মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্ত হয়েছে। তার ভর্তির শেষ তারিখ ৬ নভেম্বর বলে জানা গেছে। হতদরিদ্র কৃষক পিতার মাত্র ১০ কাঠা চাষের জমির ফসলে তাদের পরিবারের ক্ষুৎ-পিপাসাই মেটে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় এবং মাঝে-মধ্যে কলেজ কামাই করে পড়ার খরচ চালানোর জন্য সে অন্যেরর ক্ষেতে কামলা হিসাবে কাজ করে টাকা জোগাড় করে বলে তার কলেজের অধ্যক্ষ অাওয়াল হোসেন জানিয়েছেন। অধ্যক্ষ মহোদয় অারো জানিয়েছেন যে, মাত্র ১৫ হাজার টাকার অভাবে মেধাবী এ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এমনকি তার হতদরিদ্র বৃদ্ধ পিতার পক্ষে তার লেখা-পড়ার খরচ চালানো অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। অাগেই অভাবী সংসারের যাতাকল থেকে বড় ভাই বেরিয়ে অালাদা সংসার গড়েছে। নয়নের অসহায় পিতা তার এ মেধাবী সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শুধু চোঁখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নয়ন হোসেনের মুঠোফোন ০১৫১৭৮৩২৪৪৫ নম্বরে যোগাযোগ করলে এ প্রতিবেদকের নিকট সে তার অসহায়তা প্রকাশ করতে খুবই লজ্জা পাচ্ছিল। এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফোটে অার ঝরে- এমনি করে কি ঝরে যাবে গোবরে ফোটা এ পদ্মফুলটি!! প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় দেখা যায় বস্তা বস্তা টাকার নানা মুখী খবর। অথচ দেশের সম্পদ হওয়ার সম্ভাবনাময়ী এ শিক্ষার্থীর লেখা-পড়ার দায়িত্ব কি সরকার বা রাষ্ট্র অথবা কোন স্বহৃদয়বান বিত্তশালী ব্যাক্তি গ্রহন করতে পারে না? রাষ্ট্র বা দানবীরদের অর্থায়নে এসব শিক্ষার্থীদের সহায়তায় যদি একটি ফান্ড গড়ে উঠত তবে পৃথিবীটা এদের জন্যও হয়তো স্বর্গ হয়ে ধরা দিত।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.