ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনকে মারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাসে তল্লাশি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন কর্মচারীর নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসীরা এই তল্লাশি চালায় বলে জানা যায়।
রোববার সকাল নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববতী দুঃখী মাহমুদ কলেজের সামনে বাস আটকে এ তল্লাশি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিন। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল নয়টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহন করা গাড়ি দুঃখী মাহমুদ কলেজের সামনে আসলে গাড়ি গতিরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার, রাসেল জোয়ার্দ্দার, মান্নান, আবুল বাশারসহ ৮-১০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহিনের খোঁজে বাসে বাসে তল্লাশি চালায়। তল্লাসী চলাকালে গাড়িতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক টেকনেসিয়ান ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারসহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন শৈলকূপা থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। তার জিডি নং ১২৭০।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর সাথে দেখা করেন তারা। এসময় ভিসির কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘটনার সাথে জড়িত বহিরাগতদের অতিদ্রুত শনাক্তের দাবি জানান।
এছাড়া জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের স্থয়ী বরখাস্তের দাবি জানান। এসময় তারা বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রবিবারের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলন করা হবে। এছাড়া নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় ছাত্রলীগ। এসময় উপ-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমানকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন ভিসি ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। কমিটর অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর ড. নাছির উদ্দিন ও পরিবহন অফিসের সহকারী রেজিস্টার মওদুদ আহমদ। রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক টেকনেসিয়ান ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমার বাড়ি ক্যাম্পাস পার্শবর্তী শেখপাড়ায়। ওই পথ দিয়েই আমাকে ক্যাম্পাসে আসতে হয়। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কেন জিডি করা হয়েছে সে ব্যাপারে অমি কিছুই জানিনা’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ ঘটনায় যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো।”
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.