রাবির অধিভুক্ত করায় রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
রাজশাহীঃ রাজশাহীর চারটি কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং চট্টগ্রামে পাঁচটি কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়া কলেজগুলো হলো রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ এবং সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধিভুক্ত করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। শোনর কুমার সরকার নামে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী কলেজের অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’ একই কলেজের ইসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশসেরা কলেজ হিসেবে সুনামটুকু ছিল। এই সিদ্ধান্ত কার কেমন লাগছে জানি না।’ মোহা. ইসমাইল হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘রাজশাহী কলেজ এখন তার নিজস্ব পরিচয় হারাবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘সরকার যেমন আদেশ দেবে তেমনটি করতে হবে। এখন এ বিষয়ে অন্য কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে এখানে মান ক্ষুন্ন বা সুনাম নষ্ট হওয়ার কিছু নেই।’
রাজশাহী জেলা সুজনের সভাপতি আহম্মেদ শফিউদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীর চার কলেজকে অধিভুক্তিকরণ কেন করা হলো, সেটি আগে দেখতে হবে। কেননা যেখানে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ইউজিসি দুর্নীতির তদন্ত করছে, সেখানে তাদের কাছে এই কলেজ কী পাবে, সেটা ভেবে দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ভালো কিছু চিন্তা হবে। ভালো কিছু হবে। আমরা কেবলই চিঠি পেয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, খুললে আমরা বসব। তখন এটি সম্পর্কে বলতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অধিভুক্তি কেন প্রয়োজন সেটি সরকার বলতে পারবেন। নিশ্চিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো কিছু ভেবেছে বলেই আমাদের দেওয়া। তবে আমরা এইটুকু বলতে পারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো কলেজ ইন্সপেক্টর অফিস আছে। আমাদের অবকাঠামো আছে, অভিজ্ঞতা আছে। ভালো কিছু হবে। আমরা বসব, এরপরই বুঝতে পারব এটি কীভাবে রান করা হবে। তবে আমি আশা করি বেশ ভালোই হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৪/২০২৪