শিক্ষক ও সহপাঠীদের নাম ভুলে গেছে শিক্ষার্থিরা
দীর্ঘ ১৭ মাস ২৬ দিন পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় দেড় বছরের মতো এই সময়ে ঘরে থেকে নিজেদের সহপাঠীদেরও ভুলে গেছেন প্রাথমিকের অনেক শিশু শিক্ষার্থী। এমনটা যে ঘটতে পারে সেটা আগেই বোঝা যাচ্ছিলো। কারণ, দেশে সাধারণত জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়। নতুন বইয়ের পাশাপাশি সহপাঠীদের সঙ্গেও গড়ে ওঠে সখ্যতা।
একই অবস্থা আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইমির। তিনি তার মাত্র দু’জন সহপাঠী ছাড়া আর কারো নাম বলতে পারেননি। এতো গেলো সহপাঠীদের কথা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের শ্রেণি শিক্ষকদের নাম-চেহারাও ভুলে গেছেন। দেড় বছর আগে দেখা শিক্ষককে তাদের কাছে মনে হয়েছে নতুন কোন মুখ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের শ্রেণি শিক্ষকের নাম বলতে পারেননি। তারা জানান, অল্প দিনে শিক্ষকদের সাথে তাদের চেনা শোনা হয়ে ওঠেনি। ফলে এখন তাদের নতুন শিক্ষাবর্ষের মতোই সবার সাথে পরিচয় হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, তারাও বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। মহামারীকালে শিক্ষার্থীদের সাথে কিছুটা দুরত্ব তৈরি হয়েছে স্বীকার করে তারা বলেন, এবার অন্তত দুরত্ব কিছুটা কমবে। শিক্ষক আর সহপাঠীদের সঙ্গে সময়ের দুরত্ব খুব দ্রুতই কেটে গিয়ে প্রতিটি পাঠদান কেন্দ্রে আবারো ফিরে যাবে তার চিরায়ত রূপে, এমন প্রত্যাশাই সব মহলের।