নিউজ ডেস্ক।।
যখন জীবনে চলার পথ অনেক কঠিন হয়ে যায় তখন ঠিক কী করা উচিত? গবেষকরা বলছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের ‘সেরা ওষুধ’ হচ্ছে ভালো একটি সাহিত্যের বই খুঁজে সেটা পড়া। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বই কীভাবে আপনার জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে? নানা সমীক্ষার পর তারা বলেছেন, সঠিক ধরনের সাহিত্য আপনাকে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ দিতে সক্ষম। যেটা আপনার মনকে সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে। একটি বই মূলত আপনাকে যে বার্তাটি দেয়, সেটি হলো নিজের নীতিতে অটল থাকার। এ কারণে নানা ধরনের মানসিক পীড়া থেকে মুক্তি মেলে আর মন পুরো পরিশুদ্ধ নতুনের মতো হয়ে যায়।
গবেষণা মতে, গল্প, উপন্যাস, সাহিত্য আপনাকে সবকিছু থেকে পালাতে সাহায্য করে। ইংরেজি ভাষায় যাকে বলা হয় এসকেপিজম বা পলায়নবাদ। এ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অন্য যেকোনো শিল্পের চেয়ে তীব্র ও শক্তিশালী। একটি চলচ্চিত্র বা টিভি অনুষ্ঠানে আপনাকে ছবি দেখানো হয়, সেখানে আপনার নিজের কল্পনার রাজ্যে ভ্রমণ করার সুযোগ কম। নিজের মানসিক শক্তিকে খেলতে দেওয়ার সুযোগ কম। অথচ, একটি উপন্যাস পড়ার সময় আপনি সেই ছবি বা দৃশ্যপট নিজেই তৈরি করেন। সুতরাং বই আসলে অন্য যেকোনো মাধ্যমের চাইতে অনেক শক্তিশালী। কারণ এতে আপনি নিজেই অনেক বেশি জড়িত। বই তার কাঠামোগত বিশ্লেষণের সাহায্যে একটি অগোছালো মনে শৃঙ্খলা আনতে পারে। ঔপন্যাসিকদের অনেকেই নিজেরা যখন কোনো ঝামেলায় পড়েন তখন অন্য লেখকদের বইয়ের সাহায্য নেন। নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে ও সমস্যা সমাধান করতে পারেন বইয়ের মধ্যে ডুবে যাওয়ার মাধ্যমে। আর বইয়ের কোনো অতিপ্রাকৃত গল্পের সঙ্গে সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারলে আপনার নিজের মনে থাকা নানা বিষয়কে এক জায়গায় এনে সমাধানের চেষ্টা করা যায়। তাছাড়া প্রিয় উপন্যাসগুলো বার বার পড়লে সেটি বিশেষ ধরনের ‘বিবলিওথেরাপি’ বা পুস্তকীয় চিকিত্সা সরবরাহ করতে পারে। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সংকট মোকাবিলায় সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো মানসিক ট্রমা বা আবেগ বের করে দেওয়ার ক্ষমতা। এভাবে বই পাঠকের মনের ওপর প্রভাব ফেলে তাকে সুস্থ করে তোলে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.