নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাই শিশুদের মানসিক বিকাশে শুধু পড়াশোনা নয় পরিবেশও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার (১ জুন) উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’-এর আওতায় পাঁচটি নতুন স্কুল ভবনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার বাইরে পরবর্তীতে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, শিশুরা শুধু বই পড়ে শিখে না স্কুলের সামগ্রিক কার্যক্রম দেখেও শিখে। এ সময় দৃষ্টিনন্দন স্কুল করার পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিতেও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষে উক্ত প্রকল্পের আওতায় আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ ১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিশুর মানসিক বিকাশ, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে ঢাকা মহানগরীতে দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে শিশুরা সুন্দর ও আধুনিক পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। ঢাকার বাইরে পরবর্তীতে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিশুরা শুধু বই পড়ে শিখে না স্কুলের সামগ্রিক কার্যক্রম দেখে শিখে। সবচেয়ে বেশি শিখে অভিভাবকদের থেকে। কারণ শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করে। দৃষ্টিনন্দন স্কুল করার পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা খুব প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীতে দেশ পরিচালনা করবে। এক সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ই সেরা প্রতিষ্ঠান ছিল। এখনও তা ধরে রাখতে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া বলেন, আমরা মানসম্মত টেকসই দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করতে বদ্ধ পরিকর। তবে দৃষ্টিনন্দন ভবনের পাশপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায়ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নতুন আধুনিক এমন অবকাঠামো প্রাথমিক শিক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ছোহরাব আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (শিক্ষা) মো. মাহাবুব আলম, উপপ্রকল্প পরিচালক এস এম মোর্শেদ বিপুল, ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাচ্চু মিয়া, এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (শিক্ষা) মোহা. কবির উদ্দীন শাহ্। এছাড়াও এলজিইডি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ১৫৬টি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আজ উদ্বোধন হওয়া পাঁচটি বিদ্যালয় হলো- আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াক-আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিরপুর, সুত্রাপুর কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোট কক্ষ সংখ্যা রয়েছে ৭৪টি, ওয়াস ব্লক রয়েছে ২৯টি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৬/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.